অক্ষত থাকবে পাইলট! হাই-স্পিড রকেট স্লেড ইজেকশন সিস্টেমের সফল টেস্ট করল DRDO

DRDO High Speed Rocket Sled Test

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের মুকুটে আবারও নয়া পালক। সফলভাবে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও জটিল ও এবং হাই-স্পিড রকেট স্লেড ইজেকশন সিস্টেম টেস্ট (DRDO High Speed Rocket Sled Test) সম্পন্ন করল। জানা গিয়েছে, এই পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে টার্মিনাল ব্যালিস্টিক্স রিসার্চ ল্যাবরেটরির রেল ট্র্যাকে। আর এটি দেশের সবথেকে ভরসার জায়গা হিসেবেই পরিচিত।

বলে রাখি, এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য ছিল ফাইটার প্লেনের ইজেকশন সিস্টেম টেস্ট। অর্থাৎ, জরুরী কোনও বিপদের সময় পাইলটের নিরাপদে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া বাস্তব পরিবেশে কীভাবে কাজ করে তা যাচাই করা। মোদ্দা কথা, বিমান দুর্ঘটনা বা বিপদের মুহূর্তে পাইলটের জীবন বাঁচাতে যে সিস্টেম কাজ করে, তার কার্যকারিতা এবার পরীক্ষামূলকভাবে প্রমাণিত হল।

কীভাবে হল এই পরীক্ষা?

এদিন ডিআরডিও, এডিএ এবং হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড যৌথভাবে এই পরীক্ষাটি পরিচালনা করেছে। জানা গিয়েছে, এতে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়েছে দুটি রকেট স্লেড, লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফটের সামনের অংশ এবং বহু স্টেজে ফায়ার করা সলিড রকেট মোটর। এই সিস্টেম পুরো সেটআপটিকে নির্দিষ্ট গতির দিকে ঠেলে দেয়। আর সেই সময় অ্যানথ্রোপোমর্ফিক টেস্ট ডামি চাপ, কম্পন থেকে শুরু করে সমস্ত মাপজোক লিপিবদ্ধ করে রাখে। এছাড়া গ্রাউন্ড বেসড বা অন বোর্ড ক্যামেরা গোটা ইজেকশন প্রক্রিয়াকে রেকর্ড করে রাখে।

আরও পড়ুন: সোনার দাম কমলেও চাপ দিচ্ছে রুপো! আজকের রেট

উল্লেখ্য, সাধারণ ইজেকশন সিস্টেম পরীক্ষা অনেক সময় স্থির অবস্থায় করা হয়। তবে ডাইনামিক টেস্টিং অর্থাৎ বাস্তবে উড়ন্ত বিমানের গতি পরীক্ষা করা সত্যিই অধিকাংশ দেশের কাছে বিরল ঘটনা। আর এবার ভারত সেই মুকুট অর্জন করল। ফলে ভারত এবার এলিট ক্লাবে পা রাখল, যারা নিজেদের দেশে বসেই উন্নত ইজেকশন সিস্টেম পরীক্ষা করতে সক্ষম। উল্লেখ্য, এই পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় বায়ু সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা, ইনস্টিটিউট অফ এয়ারোস্পেস মেডিসিনের বিশেষজ্ঞরা এবং একাধিক গবেষক। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

Leave a Comment