সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতের বাইকপ্রেমীদের কাছে দীর্ঘদিন ধরেই আইকনিক বাইক Bajaj Pulsar 220F। 2007 সালে প্রথমবার লঞ্চ হওয়ার পর থেকে এই বাইকের জনপ্রিয়তা একেবারে তুঙ্গে ছিল। আর এবার সেই জনপ্রিয় মডেল নতুন আপডেট নিয়ে বাজারে হাজির হল। 2026 সালের জন্য Bajaj Pulsar 220F-কে নতুনভাবে বাজারে আনল সংস্থা। আর যেখানে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সেফটি এবং আধুনিক ফিচার্সে। কিন্তু কী কী আপডেট এসেছে? জানুন এই প্রতিবেদনে।
ডুয়াল চ্যানেল ABS
নতুন Bajaj Pulsar 220F এর সবথেকে বড় সংযোজন এবার ডুয়াল চ্যানেল ABS। এই প্রযুক্তির ফলে হঠাৎ করে ব্রেক কষলে বাইক স্কিড খাবে না। পাশাপাশি কন্ট্রোল অনেকটাই বাড়বে এবং শহর ও হাইওয়ে, দুই জায়গাতেই নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এই আপডেটের ফলে Bajaj Pulsar 220F এখন সবথেকে সাশ্রয়ী Pulsar মডেলগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে, যেখানে ডুয়াল চ্যানেল ABS দেওয়া হয়েছে।
নতুন স্পোর্টি লুক
শুধুমাত্র সেফটি নয়, বরং বাইকের লুকে আনা হয়েছে হালকা, কিন্তু নজরকাড়া সব পরিবর্তন। নতুন এবং ফ্রেশ গ্রাফিক্সের সাথে আরও আগ্রাসি স্পোর্টি স্ট্যান্স দেওয়া হয়েছে এই বাইকটিতে। এদিকে নতুন কালার কম্বিনেশন হিসেবে ব্ল্যাক বেসের সঙ্গে সফট গোল্ড অ্যাকসেন্ট দেওয়া হয়েছে। আর ব্লাক বেসের সঙ্গে অরেঞ্জ ও গ্রিন শেড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাইকটি চারটি রংয়ের ভেরিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে। আর সেগুলি হল Black Cherry Red, Black Ink Blue, Black Copper Beige এবং Green Light Copper।
কানেক্টিভিটি সহ নতুন ফিচার
নতুন Bajaj Pulsar 220F বাইকটিতে যুক্ত করা হয়েছে একাধিক স্মার্ট ফিচার। হ্যাঁ, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি তো রয়েছেই। তার সঙ্গে ডিজিটাল LCD ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, টার্ন বাই টার্ন নেভিগেশন, কল এবং মেসেজ এলার্ট, DTE তথ্য অর্থাৎ ফুয়েল শেষ হতে আর কতটা পথ বাকি তা জানাবে, এমনকি লং রাইডের জন্য ইউএসবি চার্জিং পোর্ট দেওয়া রয়েছে।
ইঞ্জিনে কী বদল আনা হল?
উল্লেখ্য, নতুন Bajaj Pulsar 220F-এ ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে সেরকম কোনও বদল করেনি Bajaj। কারণ, এই বাইকটিতে 220cc অয়েল কুলড ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে, যেটি 20.9 PS পাওয়ার এবং 18.55 Nm টর্ক উৎপন্ন করতে পারবে। পাশাপাশি 5-স্পিড গিয়ারবক্স উপলব্ধ। এই ইঞ্জিন দীর্ঘদিন ধরেই হাইওয়েতে পারফরমেন্সের জন্য পরিচিত।
আরও পড়ুন: ২০২৬-এ পৌষ সংক্রান্তি কত তারিখে? দেখুন দিনক্ষণ, তিথি নক্ষত্র ও আচারবিধি
ব্রেকিং এবং সাসপেনশন সেটআপ
গাড়িটির সামনের দিকে 280mm ডিস্ক ব্রেক দেওয়া হয়েছে, আর পিছনে দেওয়া হয়েছে 230mm ডিস্ক ব্রেক। পাশাপাশি দুই চাকাতেই ডুয়াল চ্যানেল ABS রয়েছে। আর সাসপেনশন সেটআপে রয়েছে সামনের দিকে টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পিছনের দিকে 5-ওয়ে অ্যাডজাস্টেবল Nitrox শক অ্যাবজর্বার।
এদিকে আমরা যদি ফুয়েল ট্যাঙ্ক নিয়ে কথা বলি, তাহলে 15 লিটারের ক্যাপাসিটির একটি ট্যাঙ্ক দেওয়া রয়েছে। আর বাইকটির ওজন মোটামুটি 160 কেজি। ফলত, লং রাইড বা হাইওয়ে ব্যবহারকারীদের জন্য এই কম্বিনেশন হতে পারে সেরা অপশন।