প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: পুরীর আদলে এবার প্রথমবার দিঘায় বিশাল রথযাত্রার আয়োজন করল রাজ্য সরকার। যেহেতু চলতি বছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হয়েছিল তাই এবারে ছিল একের পর এক বিরাট চমক।
ফলস্বরূপ যে সমস্ত বাঙালি আগে রথযাত্রা উপলক্ষে পুরী যাওয়ার জন্য ছটফট করতেন, তাঁরাই এখন দিঘামুখী হচ্ছে। তবে সোজা রথে যতটা পুন্যার্থীদের ভিড় চোখে পরেছিল, গতকাল উল্টোরথে যেন সেই ভিড় অনেকটাই কম ছিল।
উল্টো রথে দেখা যায়নি সেই ভিড়!
গতকাল মাসির বাড়ি থেকে মন্দিরে ফিরেছেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। তাই স্বাভাবিকভাবেই উল্টোরথ দেখতে পুণ্যার্থীদের ভিড় বেশি হবে বলেই একাধিক নিরাপত্তা অবলম্বন করা হয়েছিল। রথযাত্রায় সৈকত শহর দিঘা আলোকসজ্জায় সেজে উঠেছিল। এবং উল্টোরথকে ঘিরেও ভক্তদের মধ্যে একই রকম উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছিল।
প্রশাসনের দাবি ছিল, প্রায় দু’লক্ষ জনসমাগম হবে। কিন্তু উল্টোরথে সেই জনসমাগম দেখা যায়নি। তবে দিঘার রাস্তায় সপ্তাহান্তের চেনা ভিড় এবং জগন্নাথ মন্দিরেও লম্বা লাইন দেখা গিয়েছিল।
৫৬ ভোগ নিবেদন ভগবানের উদ্দেশে
রথযাত্রার দিন রথের উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে হলেও উল্টো রথের দিন দীঘায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে তিনি উপস্থিত না থাকতে পারলেও একাধিক মন্ত্রীর ওপর মন্দিরের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ রথের রশি টেনে পুনর্যাত্রার সূচনা করেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পুলক রায়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং ইন্দ্রনীল সেন। সকালে মাসির বাড়িতে ৫৬ ভোগ নিবেদন করে পুজোপাঠের পর দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ শঙ্খ আর উলুধ্বনি দিয়ে জগন্নাথ, বলভদ্র আর সুভদ্রাকে রথে তোলা হয়।
আরও পড়ুন: ‘সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চে যাওয়ার ভয়ে রয়েছে রাজ্য সরকার!’ DA মামলার লেটেস্ট আপডেট
সেই দৃশ্য চাক্ষুষ করতে অনেক পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তার খাতিরে পুলিশ প্রশাসন রথ-সড়কে প্রথমে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হলেও পরে বার করে দেয়। যা নিয়ে বেশ বিক্ষুব্ধ হন পর্যটকেরা। অনেকেই এই নিয়ে নানা কটাক্ষ করেন। যার দরুন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানিয়েছেন ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কিছু কিছু পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছিল। যদিও পরে অবশ্য পুলিশের শীর্ষকর্তাদের হস্তক্ষেপে কয়েক জনকে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়।