সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আজ 15 আগস্ট, দেশের স্বাধীনতা দিবস। লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আর হঠাৎই তার কন্ঠে উঠে এসেছে সতর্কবার্তা। তিনি জানিয়েছেন, রীতিমতো ষড়যন্ত্র করে ভারতের জনবিন্যাস বদলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
হ্যাঁ, দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে অনুপ্রবেশের ফলে শুধুমাত্র ভৌগোলিক সীমানা নয়, বরং বদলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাও। আর এর প্রভাব পড়ছে জাতীয় নিরাপত্তা থেকে শুরু করে অর্থনীতি বা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উপরে।
সীমান্তে উদ্বেগের ছবি
এদিন প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছে, অনুপ্রবেশকারীরা এখন শুধুমাত্র বসতি গড়ে তুলছে না, বরং ধীরে ধীরে আদিবাসী ও স্থানীয় মানুষজনদের জমিও দখল করে নিচ্ছে। হ্যাঁ, ল্যান্ড জেহাদ অর্থাৎ ওয়াকফের নামে সম্পত্তি দখল করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রলোভন ও প্রতারণার মাধ্যমে অধিবাসী জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।
এমনকি সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলিতে বেআইনিভাবে বসতিও গড়ে তোলা হচ্ছে। বিশেষ করে অসম, ঝাড়খন্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলিতে এই অভিযোগ দিনের পর দিন হয়েই আসছে। বিজেপ উল্লেখ করেছে, এটি শুধুমাত্র জমি দখল নয়, বরং সাংস্কৃতিক থেকে শুরু করে ধর্মীয় প্রভাব খাটিয়ে দেশের জনবিন্যাসকে পাল্টে দেওয়ার কৌশল।
#WATCH | Prime Minister Narendra Modi announces ‘High-Power Demography Mission’
“I would like to alert the nation about a concern, a challenge. Under a well-thought-out conspiracy, country’s demography is being changed, seeds of a new crisis are being sown. Infiltrators are… pic.twitter.com/wdvk5lhtux
— ANI (@ANI) August 15, 2025
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিহারে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা বা এসআইআর নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। হ্যাঁ, এসআইআর-এর মাধ্যমে 65 লক্ষ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। এমনকি এ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে বর্তমানে মামলাও গড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও এই এসআইআর চালু হবে বলে নির্বাচন কমিশন অনুমোদন দিয়েছিল। এমনকি বিজেপি দাবি করছে, ভোটার তালিকায় বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীর উপস্থিতি স্পষ্ট।
আরও পড়ুনঃ মাত্র ৪৫ মিনিটে শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক! সামান্য খরচে হেলিকপ্টার, জানুন ভাড়া
প্রধানমন্ত্রী বড়সড় ঘোষণা
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অতীতের সরকারগুলির নীরবতা আর অবহেলা এই পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলছে। এবার সরকার বদ্ধপরিকর, যেকোনো মূল্যে এই ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। আর এই লক্ষ্য পূরণের তাগিদেই শুরু হচ্ছে ভিশন ডেমোগ্রাফি মিশন, যার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীদের সনাক্ত করা হবে। পাশাপাশি বেআইনি জমি দখল প্রতিরোধ করা হবে। এমনকি সীমান্ত অঞ্চলে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হবে আর স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অধিকারকে সুরক্ষা দেওয়া হবে।