অনুমোদন কমল তিনগুন! বিভিন্ন প্রকল্পের খরচে লাগাম টানল পশ্চিমবঙ্গ সরকার

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছর ঘুরলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। হাতে আর বাকি মাত্র কয়েক মাস। আর এই কয়েক মাসে সরকারি একাধিক প্রকল্প নিয়ে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে রাজ্য সরকার। আর এই পদক্ষেপের মাঝেই এবার সরকারি অর্থ খরচে লাগাম টানল নবান্ন। কোন দফতরের সচিব এবং প্রধান সচিবেরা সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রকল্পের জন্য সর্বোচ্চ কত টাকার অনুমোদন দিতে পারবেন এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নবান্নের!

নবান্নের তরফে জারি করা সেই নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, সেচ, পূর্ত, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের মতো দফতরগুলি সর্বোচ্চ ৩ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দিতে পারবে। অর্থাৎ নির্দেশিত বাজেটের বেশি অনুমোদন করা আর কোনো ক্ষেত্রেই সম্ভব হবে না। কিন্তু দফতরের বাজেটের রেকর্ড দেখলে জানা যাবে ২০২৩ সালের দফতরগুলির নির্দেশিকায় এই বাজেট ছিল ৫ কোটি টাকায়। অর্থাৎ বর্তমানে সেই উর্ধসীমা কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

একাধিক দফতরে কমানো হল বাজেট

পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতর, সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের কাজের ক্ষেত্রেও এই অনুমোদনের উর্ধ্বসীমা কমিয়ে আনা হয়েছে। আগে যেখানে নির্দেশিকায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল ৩ কোটি টাকা। সেটা এবার কমিয়ে ১ কোটি টাকা করা হয়েছে।

এছাড়াও আবাসন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের ক্ষেত্রে এই উর্ধ্বসীমা ধার্য করা হয়েছে ৭৫ লাখ টাকা। বাকি দফতরগুলির ক্ষেত্রে উর্ধ্বসীমা ধার্য করা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রশ্ন উঠছে যে নির্বাচনের আগে কি তবে সরকার খরচ বাঁচাচ্ছে?

আরও পড়ুন: পিসিকে বিয়ে ভাইপোর! শাস্তিস্বরূপ লাঙলে বেঁধে নবদম্পতিকে করানো হল হালচাষ

কেন এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের?

তবে এই বিষয়ে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছে যে, বেশ কিছু দফতর নাকি সরকারের কোষাগারের কথা না ভেবে অত্যাধিক খরচ করছে। তার উপর ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, সড়ক যোজনার মতো একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কেন্দ্র অর্থ পাঠানো বন্ধ করে দেওয়ায় সরকারকে নিজের কোষাগার থেকে টাকা বের করতে হচ্ছে।

শুধু তাই নয় তার ওপর একাধিক সরকারি প্রকল্প যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী প্রকল্প, স্বাস্থ্যসাথী বিধবা ভাতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিপুল খরচ হচ্ছে। তাই সরকারি কোষাগার থেকে অতিরিক্ত খরচের ভার কমাতেই প্রশাসন এই উদ্যোগ নিতে চলেছে।

Leave a Comment