সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ আপনিও কি সিরিয়ালপ্রেমী? বিশেষ করে স্টার জলসার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa) দেখতে পছন্দ করেন? তাহলে আপনার জন্য রইল খারাপ। আর পর্দায় দেখা যাবে না সূর্য-দীপার জুটিকে। পথচলা শেষ হচ্ছে দুজনের। ভাবছেন সিরিয়াল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? মোটেই না। আসলে এই সিরিয়ালের গল্পে বিরাট বদল আসছে। লিপ নিচ্ছে মেগাটি। সেখানে দীপা-সূর্যের চরিত্রের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে মেগা থেকে বিদায় নিচ্ছেন সূর্য ওরফে দিব্যজ্যোতি দত্ত।
‘অনুরাগের ছোঁয়া’ থেকে বিদায় নিচ্ছে দিব্যজ্যোতি
বিগত ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্টার জলসা চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে মেগাটিকে। এই মেগার প্রতিটি চরিত্র যেন মানুষের মুখস্ত। প্রতিটি চরিত্রকে দর্শক পছন্দ করেছেন। এক সময়ে এই মেগাটি লাগাতার কয়েক সপ্তাহ ধরে টিআরপি তালিকার শীর্ষে থাকত। তবে এখন সেসব অতীত। যাইহোক, বিগত কয়েক বছরে সূর্য-দীপার জীবনে নানারকম ঝড় এসেছে। কখনও মিশকা তো কখনও সোনা-রুপা দুই মেয়ের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া, মা লাবণ্য সেনগুপ্ত-র মৃত্যু, দীপার মুম্বাই পাড়ি দেওয়া সব মিলিয়ে অনেক ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে দুজনের জীবন। তবে সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আবার এক হয়েছে দীপা ও তাঁর ডাক্তারবাবু। তবে আর নয়। কারণ এবার গল্পে পরবর্তী লিপ নিচ্ছে।
দিব্যজ্যোতি-র এতদিনের পথচলা শেষ হওয়া নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ ইউনিটের পাশাপাশি অভিনেতার নিজেরও। সম্প্রতি ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ নতুন প্রোমো সামনে এসেছে। সেখানে নেই ‘সূর্য-দীপা’র গল্পের ছায়া। একেবারে নতুন রূপে আসছে মেগা। তাই প্রোমো দেখেই একপ্রকার হইচই পড়ে যায়। অনেক দর্শক ‘সূর্য’কে দেখতে না পেয়ে বেশ হতাশ হয়েছেন স্বাভাবিকভাবেই।
কী বলছেন নায়ক?
‘সূর্য’ দিব্যজ্যোতি বলেন, ‘সূর্য-দীপা’র জার্নি এতটাই ছিল। নতুন প্রোমোয় দেখা গিয়েছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ নতুন রূপে। সেখানে ‘সূর্য-দীপা’র পরবর্তী প্রজন্ম ‘সুদীপা’র গল্প শুরু হচ্ছে। এবার মেগায় আমার খুব পছন্দের একজন অভিনেতা রাহুলদা (রাহুল মজুমদার) রয়েছেন। রাহুলদা বলেন আমি ওঁর ভাইয়ের মতো। আর সত্যি তাই। তিনি একজন দক্ষ অভিনেতাও। ফলে আমার বিশ্বাস আমাদের মেগা আবার হিট হবে।’ মন খারাপ করছে না? এই বিষয়ে অভিনেতার সংযোজন, দিব্যজ্যোতির কথায়, ‘একটু না ভালোই মন খারাপ। আর এটা খুব স্বাভাবিকও। প্রায় ৪ বছর ধরে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। ওই টিমটার সঙ্গেই আমার দিনের বেশির ভাগ সময়টা কাটত। তাঁদের সঙ্গেই সবটা শেয়ার করে নিতাম, রাগ, দুঃখ, হাসি, কান্না। ফলে মন তো খারাপ হবেই। আমি বাইরে যতই ম্যাচিওর ভাবে সবটা সামনে নিই না কেন, আমার ভিতরে কী হচ্ছে সেটা তো আমি জানি। ’