বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (Bangladesh Premier League) শুরুর আগেই চরম নাটকীয়তা দেখল ক্রিকেটবিশ্ব। প্রথমে চট্টগ্রাম রয়্যালস দলের মালিক সরে যাওয়ার পর এবার অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত বল না থাকায় রেগে মাঠ ছাড়লেন নোয়াখালি এক্সপ্রেস দলের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ এবং বোলিং কোচ তালহা জুবেইর। শুধু তাই নয়, মাঠ থেকে বেরিয়ে অটোতে চেপে সোজা ধা নোয়াখালি দলের দুই কোচ। তাতে ফের হাসির খোরাক হল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ।
BPL এর আগে চূড়ান্ত অব্যবস্থা প্রকাশ্যে
আজ অর্থাৎ শুক্রবার থেকে শুরু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। তার আগে বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নোয়াখালি এক্সপ্রেস দলের অনুশীলন চলাকালীন হঠাৎ রেগে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান প্রধান কোচ মাহমুদ এবং বোলিং কোচ তালহা। এদিন মাঠ ছাড়ার আগে ফোনে কারও সাথে চিৎকার করে কথা বলছিলেন মাহমুদ। পরবর্তীতে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি একেবারে খোলাখুলি জানান, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে কাজ করতে চান না তিনি।
অবশ্যই পড়ুন: রোহিত শর্মার মতো ব্যাটসম্যানকে প্রথম বলেই মাঠ ছাড়া করা কে এই দেবেন্দ্র সিং বোরা?
মাহমুদের কথায়, “আমি কোনও মতেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে কাজ করব না। এমন পরিস্থিতি আগে দেখিনি।” এদিন অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনীয় বল না পেয়ে একেবারে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে উঠেছিলেন মাহমুদ। পাশে দাঁড়িয়ে একই অবস্থা হয়েছিল বোলিং কোচেরও। এদিন তাঁকেও বলতে শোনা যায়, “আমি কাজ করতে চাই না। মাহমুদ ভাই কী করবেন আমার জানা নেই তবে আমি আর এখানে থাকছি না।”
অবশ্যই পড়ুন: জুহিদের কাছে থেকে KKR-র অতিরিক্ত শেয়ারও কিনে নিচ্ছেন শাহরুখ খান!
সাংবাদিকদের মুখের উপর এমন কথা বলেই এদিন সোজা মাঠ থেকে বেরিয়ে যান দুজন। এরপর দেখা যায় মাঠের বাইরে রাস্তায় একটি অটোতে চেপে বেরিয়ে যাচ্ছেন নোয়াখালি এক্সপ্রেসের দুই কোচ। চিত্রটা বদলে গেল কয়েক ঘণ্টা পরই। আচমকা দলের অনুশীলনে ঢুকলেন মাহমুদ এবং তালহা। পরবর্তীতে তাঁদের প্রশ্ন করা হলে মাহমুদ একেবারে স্পষ্ট জানালেন, “ভুল বোঝাবুঝির জন্য এমনটা হয়েছিল। রাগের মাথায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। দলের মালিকদের অনেক ধন্যবাদ। তাঁরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বোর্ডের সাথেও কথা হয়েছে ইতিমধ্যে।” এদিকে দুই কোচ অনুশীলনে ফিরলেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান তাঁদের আচরণে মোটেও খুশি নন। রহমানের কথায়, “নোয়াখালির দুই কোচ অপেশাদারের মতো আচরণ করেছেন।”