‘অন্য কাজেও যেতে পারি’, দমদমে মোদীর সভায় আমন্ত্রণ না পেয়ে অভিমানী দিলীপ ঘোষ

Dilip Ghosh

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ১ অথবা ২ বার নয়, পর পর ৩ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা থেকে ব্রাত্য হলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ! আগামীকাল, শুক্রবার দমদমে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা। কিন্তু আমন্ত্রিতদের তালিকায় নাম নেই দিলীপ ঘোষের। দলের এই কর্মকাণ্ডে অভিমানের সুর দিলীপের কথায়। তাই সাংবাদিকদের সামনেই স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোই হয়নি। ফলত তিনি যাবেন না।

দলে থেকেও নেই দিলীপ!

বিগত কয়েক মাস ধরেই দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।কোনো সভা বা কর্মসূচির আয়োজন করলে তার নিমন্ত্রণ অনেক দেরিতে পাচ্ছেন দিলীপ তো কখনও আবার পাচ্ছেনই না, সবমিলিয়ে দল তাঁকে এড়িয়ে যাচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহলে একটা গুঞ্জন রয়েছে। যদিও এই কথায় খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেন না দিলীপবাবু। এমতাবস্থায় আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাজ্যে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই সভায় এখনও আমন্ত্রণ মেলেনি দিলীপ ঘোষের। আর এতেই গেরুয়া গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অন্য আকার ধারণ করেছে।

কী জানালেন দিলীপ বাবু?

এর আগেও নরেন্দ্র মোদী চলতি বছর দুইবার রাজ্যে সভা করতে এসেছিলেন। কিন্তু সেই বারেও বিজেপির তরফে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়নি, দিলীপ ঘোষকে। এবার মোদির দমদমের সভাতেও আমন্ত্রণ পেলেন না বঙ্গবিজেপির এই দাপুটে নেতা দিলীপ ঘোষ। আর সেই কথাই আজ, বৃহস্পতিবার সকালে সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি। এদিন দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের সামনে জানান, “ দেখা যাক কোথায় যেতে পারি, অন্য কাজেও যেতে পারি, পার্টির কর্মসূচি পার্টি ঠিক করে। সেটা আমার হাতে নেই। এর বাইরে কোনও কর্মসূচি থাকলে সেটা আমি ঠিক করি। কাল সরকারি প্রোগ্রাম সেখানে আমন্ত্রণ পাওয়া দরকার। কেউ আমাকে আমন্ত্রণ করেনি। তাই ওটায় যাচ্ছি না। বাকি দেখছি কী করা যায়।”

আরও পড়ুন: মানহানির মামলা করেছেন কুণাল ঘোষ, শুনে অভয়ার বাবা বললেন …

কিছুদিন আগেই শমীক ভট্টাচার্যকে রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। আর সেই দায়িত্ব গ্রহণের পর অনেকেই মনে করেছিল যে, যেহেতু শ্রমিক এর সঙ্গে দীলিপ বাবুর ভালো সম্পর্ক, তাই এবার হয়ত পুরনো জায়গা ফিরে পাবেন দিলীপ। কিন্তু তাতেও দেখা যাচ্ছে, যেই কে সেই পরিণতি দিলীপের। অমিত শাহ একসময় বলেছিলেন দিলীপ ঘোষকে নানাভাবে সাংগঠিনক কাজে লাগানো হবে। কিন্তু তার পরেও তার কোনও প্রতিফল দেখা যায়নি। এদিকে সামনেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন, তাই এই নিয়ে গেরুয়া শিবিরে এক চরম অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।

Leave a Comment