সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের মধ্যে S-400 সুদর্শন চক্র (S400 Squadron) বিরাট সাফল্য অর্জন করেছিল। সেই সুত্রে ভারতের প্রতিরক্ষা কাঠামোতে এবার আসছে বিরাট পরিবর্তন। দিল্লি এবার আরও পাঁচটি অতিরিক্ত S-400 স্কোয়াড্রন কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমনকি রাশিয়া ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, 2018 সালের মূল অর্ডারের বাকি দুটি ইউনিট 2026 সালের নভেম্বর মাসের মধ্যেই ভারতে পৌঁছবে। আর এতে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ধরা হচ্ছে 5 বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
মোদী-পুতিনের বৈঠকেই হবে আলোচনা
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক রিপোর্ট অনুযায়ী খবর, 5 ডিসেম্বর মস্কোয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিনের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আর সেখানেই এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শীর্ষ সূত্র মারফৎ জানানো হয়েছে, ভারতীয় বায়ুসেনা ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত স্কোয়াড্রনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এমনকি বায়ুসেনা দাবি করছে, পশ্চিম সীমান্ত তৈরি হওয়া পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য S-400 যে সুরক্ষা দিয়েছে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আর 2025 সালের মে মাসে অপারেশন সিঁদুরে এই সিস্টেম পাকিস্থানের লক্ষ্যভেদকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এ. পি. সিংহ বেঙ্গালুরুতে এক বক্তৃতায় বলেছেন, সংঘাতের সময় S-400 ছিল গেম চেঞ্জার। অন্তত পাঁচটি পাকিস্তানি আধুনিক ফাইটার জেট F-16 এবং JF-17 ধ্বংস করে দিয়েছে। আর এটি উচ্চ ক্ষমতার AEW&C / ELINT গুলিকেও ভূপতিত করেছে। পাশাপাশি 15টি স্থানে 50টিরও বেশি ড্রোন, মিসাইল মোকাবিলা করেছে। আর সবথেকে বড় ব্যাপার, 314 কিলোমিটার দূরের একটি পাকিস্তানী রাডারকে এটি ধ্বংস করেছে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে যেকোনও সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেমের মধ্যে সর্বাধিক দূরত্ব।]
আরও পড়ুনঃ বিক্রি হবে রতন টাটার সেশেলসের সমুদ্রতট সংলগ্ন ভিলা! খদ্দের কে?
এদিকে 2018 সালে ভারত পাঁচটি S-400 স্কোয়াড্রনের জন্য 5.4 বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছিল। আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ডেলিভারিতে বিলম্ব হলেও তিনটি স্কোয়াড্রন ইতিমধ্যেই খেল দেখিয়েছে। পাশাপাশি বাকি দুটি 2026 সালের নভেম্বর মাসের মধ্যেই আসবে বলে জানিয়ে দিয়েছে মস্কো। আর এই স্কোয়াড্রনগুলি রাজধানী দিল্লি থেকে শুরু করে পশ্চিম সীমান্ত পর্যন্ত এলাকাগুলিকে রক্ষা করবে। জানিয়ে রাখি, এই স্কোয়াড্রনে থাকবে দুটি ব্যাটারি, 128টি মিসাইল, 600 কিলোমিটার পর্যন্ত টার্গেট ট্র্যাকিং ক্ষমতা এবং যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল। ফলত, ভারতের প্রতিরক্ষা খাত যে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।