অযোগ্যদের জন্য মন ব্যাকুল! ‘দাগিদের’ বাদ দেওয়ার রায়কে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের, কবে শুনানি?

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: চলতি বছর গত এপ্রিলে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে SSC-র ২০১৬ সালের প্যানেলে প্রায় ২৫ হাজার ৭৩৫ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এরপরই উচ্চ আদালতের নির্দেশিত সময়সীমার মধ্যে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য শিক্ষা দফতর।

এদিকে এই নয়া বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ওঠে তুমুল সমালোচনা। জানা গিয়েছে, ওই বিজ্ঞপ্তি নাকি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী। তাই এবার ওই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয় মামলা।

অযোগ্যদের জন্য পাল্টা যুক্তি রাজ্যের

ওই মামলায় বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ ছিল যে প্রায় ৪৪ হাজার শূন্যপদের যে বিজ্ঞপ্তি SSC প্রকাশ করেছিল, তা একদমই আইনসম্মত নয়। এবং তাঁদের আরও অভিযোগ যে, শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল যে, ২০১৬ সালের ‘সিলেকশন’ প্রক্রিয়া ওই সালের ‘রুল’ অনুযায়ী করতে হবে। এবং ২০১৬ সালের চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে থেকেই তা করার নির্দেশ রয়েছে।

কিন্তু এই ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। এদিকে পাল্টা SSC এবং রাজ্য সরকার যুক্তি দেন যে, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কোথাও বলা নেই যে নির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত ‘অযোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যোগ দিতে পারবেন না।”

আবেদনপত্র বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

এছাড়াও রাজ্যের আরও যুক্তি ছিল, “অযোগ্যদের চাকরি গিয়েছে। বেতন ফেরত দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এই শাস্তির পরে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে না দেওয়াটা আরও এক শাস্তি।একই অপরাধের জন্য কাউকে দু’বার শাস্তি দেওয়া যায় না। তবে এই যুক্তি মানতে চাইনি হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে, কোনও ‘দাগি বা চিহ্নিত অযোগ্য’ প্রার্থী যদি ইতিমধ্যেই আবেদন করে থাকেন, তাহলে সেই আবেদনপত্র বাতিল করতে হবে। এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তবে এদিন বিচারপতি বিজ্ঞপ্তির বাকি অংশ নিয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি।

আরও পড়ুন: আর কাগজ, ফাইল নয়! এবার অনলাইনেই মিলবে সব রেকর্ড! বড় খবর সরকারি কর্মীদের জন্য

বয়সের সীমাসহ একাধিক দাবি নিয়ে মামলা

বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আরও দাবি ছিল যে, SSC-র নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়াতে শিক্ষকতা করার জন্য অতিরিক্ত নম্বর বরাদ্দ করার ফলে অনেকেই সমস্যায় পড়তে পারেন। এমনকি বয়সের সীমা নিয়েও সমস্যা রয়েছে অনেকের। তাই এবার সেই বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে মামলা করার জন্য হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।

ইতিমধ্যেই মামলা দায়েরের অনুমতি মিলেছে। জানা গিয়েছে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি সপ্তাহেই হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দে’র ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।

Leave a Comment