অযোগ্যদের নামের পাশে সব তথ্য দিতে হবে! SSC-কে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মনে করাল হাইকোর্ট

Calcutta High Court

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের হাইকোর্টে অযোগ্য এবং যোগ্য প্রার্থী নিয়ে দ্বন্দ্ব! তবে এবার এই মামলা নিয়ে বড় নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত নীতিশরঞ্জন বর্মনকে এবার ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। এছাড়াও কমিশনের উদ্দেশে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে SSC নতুন তালিকায় যে সকল প্রার্থী অযোগ্য প্রার্থী আছে তাঁদের নামের পাশে যেন সব তথ্য থাকে। আগামী ৩ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পুনরায় জানাল হাইকোর্ট

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দিয়েছিল যে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দাগিদের কোনো স্থান থাকবে না। এবার সেই নির্দেশের কথা পুনরায় মনে করিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তাঁর স্পষ্ট কথা – ‘দাগি’ তালিকায় নাম থাকলে তিনি নিয়োগে অংশ নিতে পারেন না। যদি কোনও ভাবে ‘দাগি’ প্রার্থী অংশ নিয়েও নেন তাহলে তার নাম বাদ দিতে হবে। এছাড়াও তিনি জানান যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উদ্দেশ এটাই যে কোনও ‘চিহ্নিত অযোগ্য’ প্রার্থী যেন নতুন নিয়োগে অংশ নিতে না পারে। এক্ষেত্রে তাই দাগি প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত নীতিশরঞ্জন বর্মনকে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হল।

কমিশনের যুক্তি খারিজ আদালতের

উল্লেখ্য, চলতি বছর অক্টোবরেই এসএসসি-র একাদশ দ্বাদশের ফলপ্রকাশ হতেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল দাগি প্রার্থী নীতীশরঞ্জন বর্মনের নাম। অযোগ্য হয়েও পরীক্ষায় নাম ছিল তাঁর, শুধু তাই নয় সেই নীতীশই আবার ভেরিফিকেশনের জন্য ডাক পান। এই বিষয়টি আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের কাছে ফোন করে জানান নীতীশের স্ত্রী, যাঁর সঙ্গে এখন বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। এরপরই আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আজই সেই মামলার শুনানি ছিল। কমিশনের যুক্তি ছিল নীতীশ বিশেষভাবে সক্ষম। কিন্তু সেই যুক্তি কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে স্পষ্ট বলে দেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন: রোজভ্যালির টাকা ফেরানো নিয়ে সঠিক কাজ করছে না কমিটি! ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

হাইকোর্টের বিচারপতি জানিয়েছেন, অযোগ্য হলে বিশেষভাবে সক্ষমরাও সুযোগ পাবে না। এছাড়াও অযোগ্যদের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে শুধু প্রার্থীর নাম দিয়ে প্রকাশ করা যথেষ্ট নয়। কমিশনকে অযোগ্যদের নামের পাশে তাদের সব তথ্য দিতে হবে। যাতে সহজে শনাক্ত করা যায়। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, কমিশনকে ওয়েবসাইটে ওএমআর আপলোড করতে হবে। এদিকে চাকরিপ্রার্থীরা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ১০ নম্বর বাতিল এবং নতুন করে ভেরিফিকেশন তালিকা প্রকাশের দাবিতে অনড়। যদিও এখনও সেই মামলা নিয়ে কোনো মতামত উঠে আসেনি। আর তাতেই বাড়ছে চাপানউতোর। এখন দেখার পালা ২ ডিসেম্বর আদালতে এই মামলা কোন দিকে মোড় নেয়।

Leave a Comment