বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: উত্তর 24 পরগনায় প্রাকৃতিক সম্পদের ছড়াছড়ি! দ্বিতীয়বারের মতো অশোকনগরে প্রাকৃতিক তেল এবং গ্যাস উত্তোলনের কাজ চালাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ONGC। এরই মাঝে এবার, বনগাঁর গোপালনগরে প্রাকৃতিক তেল এবং গ্যাসের ভান্ডার থাকতে পারে বলেই জানালো ONGC কর্তৃপক্ষ (Oil And Gas In Bangaon)।
বনগাঁতেও মিলল প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তেল
ONGC এবং প্রশাসনিক সূত্র মারফত খবর, বিগত চার বছর ধরে উত্তর 24 পরগনার বনগাঁর গোপালনগরের আকাইপুর পঞ্চায়েতের কামদেবপুরে ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তেলের খোঁজে চলছে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এরই মাঝে এবার, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ONGC-র বেসিন ম্যানেজার মানসকুমার নাথ জানিয়ে দিলেন, তেল এবং গ্যাসের খোঁজ চলছে। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আপাতত আমরা আশাবাদী।
বুধবার, আকাইপুর পঞ্চায়েতের তরফ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ONGC-কে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়। সেটি নিতেই এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন সংস্থাটির বেসিন ম্যানেজার মানুসবাবু। আর সেখানেই ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে তেল ও গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানালেন তিনি।
এদিকে একই কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে জেলা পরিষদের কো-মেন্টর বিশ্বজিৎ দাস অবশ্য জানিয়েছিলেন, ONGC কর্তৃপক্ষের পক্ষে সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে বলাটা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা থেকে থাকে। যদিও ব্যক্তিগতভাবে ওদের থেকে জানতে পেরেছি, কামদেবপুরে গ্যাসের ভান্ডার পাওয়া গিয়েছে। তার কাছেই সন্ধান মিলেছে তেলেরও। আপাতত যা খবর, শীঘ্রই খনন কাজ শুরু হবে। বিশ্বজিৎ বাবুর বক্তব্য, বাণিজ্যিক উত্তোলন শুরু হয়ে গেলেই এলাকার চিত্রটাই বদলে যাবে।
বিপুল পরিমাণে প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ তেলের সন্ধান পেল ONGC!
উত্তর ২৪ পরগনার আরেকটি জায়গায় প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ তেলের সন্ধান পেল ONGC!
#Bongaon #Gopalnagar #ONGC #Akaipurgrampanchayet #North24Parganas #BanglaNews #NewsBangla7 #viralvideo #viral #WestBengal
Posted by News Bangla 7 on Wednesday, September 10, 2025
অবশ্যই পড়ুন: করতে পারেননি ধোনি, কোহলি, রোহিতরা! এশিয়া কাপে ইতিহাস লিখলেন সূর্যকুমার
প্রসঙ্গত, আকাইপুর পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, ONGC-র পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্বার্থে কামদেবপুরে প্রাথমিকভাবে 24 বিঘা জমি ইজারা দেওয়া হয়েছিল। বলা বাহুল্য, মোট 31 জন চাষী স্বেচ্ছায় ওই জমিগুলি দিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে কামদেবপুরের এক পঞ্চায়েত সদস্য জানিয়েছেন, ONGC প্রথম পর্যায়ে তিন বছরের জন্য চাষীদের কাছ থেকে বছরে বিঘা প্রতি 80,000 টাকা দিয়ে জমি নিয়েছিল। এবার নতুন করে চুক্তি হচ্ছে। তবে এই পর্যায়ে প্রত্যেক চাষী এক বিঘা জমির জন্য 1 লক্ষ টাকা করে পাবেন। ONGC কর্তৃপক্ষ জানিয়ে, জমি পেতে কোনও অতিরিক্ত ভোগান্তি পোহাতে হয়নি তাদের। চাষীরা যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন।