সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ অবশেষে অষ্টম বেতন পে কমিশন (8th Pay Commission) নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তৈরি হয়েছে তিন সদস্যের প্যানেলও। তবে এই অষ্টম বেতন পে কমিশন লাগু কবে হবে? তা নিয়ে এখনও অবধি কেন্দ্রীয় সরকার মুখে কুলুপ এঁটেছে। সবথেকে বড় কথা, সরকার, টার্মস অফ রেফারেন্স বা ToR-এ নতুন পে কমিশন লাগুর কোনও নির্দিষ্ট সাল ঘোষণা বা উল্লেখ করেনি। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে তরজা।
অষ্টম বেতন পে কমিশন নিয়ে ফের বিভ্রান্তি
সরকার সম্প্রতি অষ্টম বেতন কমিশনের টার্মস অফ রেফারেন্স (টিওআর) অর্থাৎ কাজের পদ্ধতি এবং নির্দেশিকা ঘোষণা করেছে। এর ফলে, কর্মচারীদের আশা আরও বেড়েছে যে আগামী কয়েক বছরে তাদের বেতন, ভাতা এবং পেনশনে বড় অঙ্কের বৃদ্ধি হতে পারে। কমিশনকে ১৮ মাসের মধ্যে, অর্থাৎ ২০২৭ সালের এপ্রিলের মধ্যে সরকারের কাছে তাদের সুপারিশ জমা দিতে হবে। তবে তার আগে হয়ে গেলেও জমা দিতে পারে প্যানেল। এরপর, শ্রম ও অর্থ মন্ত্রণালয় এই রিপোর্ট অনুমোদন করবে। এর পর, মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর এটি বাস্তবায়ন করা হবে। এর অর্থ হল, ২০২৭ সালের দীপাবলির মধ্যেই অষ্টম বেতন কমিশন বাস্তবায়ন করা হবে। তবে, ToR-এ উল্লেখ নেই বাস্তবায়নের সাল বা দিন। আর এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে
অল ইন্ডিয়া ডিফেন্স এমপ্লয়িজ ফেডারেশন (AIDEF)। ফেডারেশন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে একটি চিঠি লিখেছে, যেখানে টিওআর-এ অষ্টম বেতন প্যানেলের “কার্যকর হওয়ার তারিখ” সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট উল্লেখ না থাকার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এদিকে বিশিষ্ট মহল বলছে, কখন অষ্টম বেতন কমিশন বাস্তবায়ন করা হবে তা সরকারের উপর নির্ভর করে। এতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে বলে ধারণা অনেকের। AIDEF কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে একটি চিঠি লিখে অনুরোধ করেছে যে, অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি কখন থেকে কার্যকর হবে তা অবিলম্বে TOR-তে ঘোষণা করা উচিত।
ToR-এ কী লেখা আছে?
১) কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের বেতন, ভাতা, বোনাস, গ্র্যাচুইটি এবং কর্মক্ষমতা সম্পর্কিত প্রণোদনা (PLI) পর্যালোচনা করা।
২) সমতা এবং আর্থিক ভারসাম্য বজায় রাখা যাতে সরকারের উপর খুব বেশি বোঝা না পড়ে।
৩) দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং আর্থিক শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে সুপারিশ প্রদান করা।
৪) রাজ্য সরকারগুলির উপর এর কী প্রভাব পড়বে তাও দেখার বিষয়, কারণ তারা সাধারণত কিছু পরিবর্তন সহ কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে।
৫) এর পাশাপাশি, সরকারি খাত (PSU) এবং বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের বেতন কাঠামোর তুলনাও করা হবে।