অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর থেকে ভার্জিনিটি সার্টিফিকেট চাইল মাদ্রাসা! লজ্জাজনক ঘটনা যোগীরাজ্যে

Uttar Pradesh

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দেশের শিক্ষাবস্থায় এবার এক লজ্জাজনক ঘটনা সামনে এল। মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার জন্য এক অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর কাছেই চাওয়া হল ভার্জিনিটি সার্টিফিকেট বা কুমারীত্বের শংসাপত্র। হ্যাঁ, একদম ঠিকই পড়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে যোগীরাজ্যের (Uttar Pradesh) মুরাদাবাদ জেলার পাকবারা থানা এলাকার লোধিপুরে অবস্থিত এক মাদ্রাসায়। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়।

অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর কাছে ভার্জিনিটি সার্টিফিকেট?

রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই ছাত্রীটিকে তার পরিবারের লোকজন মুরাদাবাদ জেলার পাকবারা থানা এলাকার জামিয়া আসানুল বানাতা গার্লস কলেজ বা মাদ্রাসাতে ভর্তি করাতে নিয়ে গিয়েছিল। মূলত সে সপ্তম শ্রেণী উত্তীর্ণ হয়ে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হত। তবে সেখানকার আধিকারিকরা ওই ছাত্রীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করেন। রীতিমতো মেয়েটির কাছে ভার্জিনিটি সার্টিফিকেট বা কুমারিত্বের সার্টিফিকেট দাবি করে বসে তারা। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, মেয়েটির পরিবার যদি মেডিকেল সার্টিফিকেট না নিয়ে আসে বা মেডিকেল পরীক্ষা না করায়, তাহলে মাদ্রাসায় কোনওভাবেই প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে না।

কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এরকম ব্যবহার পেয়েই ওই মেয়েটির পরিবার পুরো বিষয়টি নিয়ে মুরাদাবাদ থানার এসএসপি’র কাছে অভিযোগ দায়ের করে। তার পরিবার জানায় যে, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে অভদ্র আচরণ করেছে এবং মেয়েটিকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছে। ওই ভুক্তভোগীর পরিবার চন্ডিগড়ের বাসিন্দা বলেই স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী খবর। এমনকি মেয়েটির বাবা ঘটনাটি বর্ণনা করে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়ির রাজ্য সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার পরিযায়ী শ্রমিক বোঝাই বাস! আহত একাধিক

এদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই মুরাদাবাদের এসপি রণবিজয় সিং বলেছেন, লোধিপুরের মাদ্রাসায় মেয়েকে ভর্তি করাতে নিয়ে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়ে চন্ডিগড়ের এক ব্যক্তি এসএসপি’র কাছে আবেদন জমা দিয়েছে। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তার মেয়ে গত বছর ভর্তি হওয়ার পর সেখানেই পড়ত। তবে তার চরিত্র নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়। পাশাপাশি তার চরিত্রের প্রমাণ দেওয়ার জন্য ভার্জিনিটি সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছে। এমনকি তাকে টিসি দেওয়ার পর জোর করে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। আর আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছি। ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করছে, মাদ্রাসা প্রশাসন তাদের কোথাও অভিযোগ না করার জন্যও হুমকি দিয়েছে। তবে এই ঘটনা সামনে আসতেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে এবং ঘটনার সত্যতা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

Leave a Comment