সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ব্রিটেন সরকারের এক সিদ্ধান্তেই (UK on India) উদ্বেগে পড়ে গিয়েছে প্রবাসী ভারতীয়রা। হ্যাঁ, যুক্তরাজ্য এবার ভারতকে সেই দেশগুলোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে, যেখানে অপরাধে দোষী প্রমাণিত হলে নাগরিকদের প্রথমে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আর তারপরেই আবেদনের শুনানি হবে। এর ফলে ব্রিটেনে ভারতীয় নাগরিকরা অপরাধ করলে আর সেখান থেকে আপিল করা যাবে না।
নতুন নিয়মে কী বদল আসছে?
The Hindu-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আগে মানবাধিকার আইনের সুযোগ নিয়ে দোষী সাব্যস্ত বিদেশিরা বছরের পর বছর ধরেই ব্রিটেনে থেকে আপিল চালিয়ে যেত। তবে এবার সেই পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর নতুন নিয়ম অনুযায়ী দোষীকে প্রথমে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। তারপর অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেই দেশে বসেই ভিডিও লিংকে আপিল করে শুনানিতে অংশ নেবে।
যারা সন্ত্রাসবাদ কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো গুরুতর অপরাধে দোষী, তাদের ক্ষেত্রে ব্রিটেনেই সাজা হব। এজন্য আবার সেখানেই তাদেরকে পরে ফেরত পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে আপিলের অজুহাতে আর দেশে ফেরার প্রক্রিয়য় কোনোরকম বিলম্ব হবেনা এবং ফেরত পাঠানো ব্যক্তির দীর্ঘ সময় ব্রিটেনে থাকার সুযোগ মিলবে না।
ভারত ছাড়াও আরো 14টি দেশ যুক্ত
প্রসঙ্গত, নীতিটি প্রথম চালু হয়েছিল 2014 সালে কনজারভেটিভ পার্টির শাসনকালে, যা 2023 সালে পুনরায় কার্যকর করা হয়েছে। আগে মাত্র 8টি দেশ যথা ফিনল্যান্ড, নাইজেরিয়া, ইস্টোনিয়া, আলবেনিয়া, বেলিজ, মরিশাস, তানজানিয়া ও কসোভোর নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য ছিল।
আরও পড়ুনঃ পাক সেনাপ্রধানকে লাদেনের সাথে তুলনা! বিস্ফোরক প্রাক্তন পেন্টাগন আধিকারিক
এবার ভারতসহ আরো 15টি দেশ যুক্ত হল। তালিকায় রয়েছে বুলগেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, অ্যাঙ্গোলা, বতসোয়ানা, ব্রুনেই, গায়ানা, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লাটভিয়া, লেবানন, মালয়েশিয়া, উগান্ডা, জাম্বিয়া। অর্থাৎ, এখন এই তালিকায় মোট 23টি দেশ যুক্ত হয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ব্রিটেন থেকে ফেরত পাঠানোর পর সেই ব্যক্তি নিজের দেশের জেলে যাবে কিনা, তা সম্পূর্ণ দেশটির আইনের উপর নির্ভর করবে। আর ভারতের ক্ষেত্রে ফেরত আসা ব্যক্তিদের শাস্তি কার্যকর হবে কিনা, তাও নির্ধারণ করবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।