আজই মৃত্যুদন্ড দেওয়া হতে পারে হাসিনাকে! মামলার রায় ঘোষণার আগেই উত্তাল ঢাকার রাজপথ

Sheikh Hasina

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আজ বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার আগেই একের পরের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ঢাকা। রয়টার্স সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে একাধিক বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে ওপার বাংলার রাজধানীতে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। ওদিকে আমেরিকা থেকে হাসিনা পুত্র সাজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছে, তাঁর মাকে আজ মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে!

ফের অশান্তি বাংলাদেশে

রয়টার্স সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতেই থানা সংলগ্ন এলাকায় অজ্ঞত পরিচয়ের দুষ্কৃতিরা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এমনকি বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছে রাজধানী। গোপন সূত্রে খবর, মহম্মদ ইউনূসের পরামর্শদাতাদের একজনের বাড়ির বাইরেই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এমনকি ঢাকার তিতুমীর কলেজের সামনে ও আমতলি মোড় এলাকাতেও একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটেছে। রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ শুরু হয় এই ঘটনা।

বলাবাহুল্য, গতবছরের 5 আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি দিল্লিতে অবস্থান করছেন। তাঁর ছেলে জানিয়েছে, “ভারতে আমার মা নিরাপদ। রায় কী হতে চলেছে তা আমরা সকলেই জানি। সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। মাকে হয়তো দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। কিন্তু ওরা আমার মায়ের সঙ্গে কিছু করতে পারবে না। মা ভারতে নিরাপদেই রয়েছেন। ভারত সরকার তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।”

এদিকে হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর বাংলাদেশ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করেছিল। আর তাদের তত্ত্বাবধানেই আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এমনকি সেখানে হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে হুঁশিয়ারি দিয়ে হাসিনার ছেলে জয় জানিয়েছেন, “আওয়ামী লীগকে ছাড়া আমরা বাংলাদেশের কোনও নির্বাচন হতে দেবো না। আমাদের আন্দোলন দিনের পর দিন আরও শক্তিশালী হবে।” নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ফেরাতেই হবে। তাতে আমরা যা করতে হয় করব।”

আরও পড়ুনঃ SBI, PNB, HDFC নাকি পোস্ট অফিস! ৫ বছরের FD-তে সবথেকে বেশি রিটার্ন কোথায়?

মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে হাসিনাকে?

তবে সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যদি হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়, তবে তার পরের পদক্ষেপ কী হবে এই প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আইনজীবী জানিয়েছেন, “হাসিনা পলাতক থাকার কারণে এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আর কোনও আবেদন জানাতে পারবেন না। নিয়মমাফিক 30 দিনের মধ্যেই আবেদন করতে হয়। কিন্তু তার জন্য হাসিনাকে আগেই আত্মসমর্পণ করতে হবে। তবে দেশের বাইরে থেকে তাঁর কোনও কার্যকলাপ আদালত গ্রাহ্য করবে না।” এদিকে হাসিনা পুত্রের বক্তব্য, এই মুহূর্তে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কোনওরকম ভাবনায় তারা মাথায় আনছে না। কারণ, হাসিনা ভারতে সুরক্ষিতই রয়েছেন। নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের উপস্থিতিতেই গণতান্ত্রিকভাবে সরকার গঠিত হলে রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন। এমনটাই জানিয়েছেন জয়। এখন শুধু দেখার, আজ হাসিনার বিরুদ্ধে কী রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

Leave a Comment