আজিমগঞ্জ থেকে দীঘা অবধি চলুক বন্দে ভারত, রেলের কাছে গেল প্রস্তাব

Azimganj Digha Vande Bharat

সহেলি মিত্র, কলকাতা: এবার দীঘা অবধি ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস? এমনই প্রস্তাব গেল রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে বলে খবর। আসলে আজিমগঞ্জ থেকে দীঘা অবধি একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Azimganj Digha Vande Bharat) ট্রেনের প্রপোজাল দেওয়া হয়েছে। এমনিতে যত সময় এগোচ্ছে ততই বন্দে ভারত ট্রেন নিয়ে সাধারণ মানুষের চাহিদা বাড়ছে। এখন দেশের এমন কোনো রাজ্য বাকি নেই যেখানে এই ট্রেন চলে না। বাদ যায়নি বাংলাও। এনজেপি থেকে শুরু করে গুয়াহাটি, গয়া, বিহার, পুরী অবধি ট্রেন ছাড়ে হাওড়া থেকে। অবশ্য এনজেপি থেকে গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে চলাচল করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। যাইহোক, এবার পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পর্যটনস্থল দীঘা অবধি ট্রেন চালানোর দাবি জানানো হল।

এবার দীঘা অবধি বন্দে ভারত ট্রেন চালানোর দাবি

জানা গিয়েছে, আজিমগঞ্জ কাটোয়া আহমদপুর বর্ধমান মসাগ্রাম হয়ে বোয়াইচণ্ডী বাঁকুড়া খড়গপুর হয়ে দীঘা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রপোজাল দিয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অফ রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন। সামাজিক মাধ্যমে সেই চিঠির অংশ তুলে ধরা হয়েছে। চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘ভারতীয় রেলওয়ে ২১ম শতাব্দীতে বিভিন্ন অমৃত ভারত রেলওয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে, আমরা ভালোভাবে জানি যে আপনি যাত্রীদের সুবিধা উন্নয়ন এবং পর্যটন খাতের বিকাশের মাধ্যমে রেলওয়ে নেটওয়ার্ক বাড়াতে খুবই আগ্রহী, যাতে সাধারণ জনগণের সুবিধার জন্য সংক্ষিপ্ততম রুটে সুপার ফ্যাসিলিটি ট্রেন যেমন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করা যায়। এই প্রেক্ষাপটে আমরা আপকে অনুরোধ করছি যে আজিমগঞ্জ থেকে দীঘা পর্যন্ত প্রায় ৬৩০ কিমি দৈর্ঘ্যের একটি নতুন বন্দে ভারত সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করতে।’

আরও পড়ুনঃ সমস্যার সমাধান হবে নিমিষে, পাসপোর্ট অফিসের মতো পরিষেবা শুরু করল EPFO

চিঠিতে আরও লেখা আছে, ‘এই রুটের বেশিরভাগ যাত্রী আমাদের কাছে অনুরোধ করেছেন, যেখানে যাত্রী ট্রেন ইতিমধ্যেই চলাচল করছে, সেখানে কেন তারা সুপার ফাস্ট সুবিধা পেতে পারবে না। আপনার সহানুভূতিপূর্ণ বিবেচনার মাধ্যমে বন্দে ভারত সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের মাধ্যমে। তাই আমরা ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের জুড়ে যাত্রী সুবিধা উন্নয়নের জন্য ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের ২৬টি রেলওয়ে যাত্রী সমিতির একটি সমন্বিত ফোরাম হিসাবে একত্রিত হয়ে আপনার কাছে এই রুটে ট্রেন চালানোর দাবি জানাচ্ছি।’

কী বলছেন সাধারণ মানুষ?

এদিকে এই বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষও নানা রকম মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন বন্দে ভারতের ক্ষেত্রে এই রুট অসুবিধা আছে। কিন্তু যদি শিয়ালদহ মসাগ্রাম বাঁকুড়া দীঘা একটা এক্সপ্রেস সপ্তাহে ৩ দিন আর বাকি ৩ দিন শিয়ালদহ মসাগ্রাম বাঁকুড়া আদ্রা নতুন রুটে দিলে সবথেকে বেশি উপকার হবে। পিছিয়ে পড়া অঞ্চল গুলো একটু উন্নতি লাভ করবে। অপর একজন লিখেছেন, ‘যে রুটের কথা বলেছেন আপাতত সেই রুটে ‘বন্দে ভারত’ ট্রেন চালানোর পরিস্থিতি নেই আরও দশ বছর পর হলেও হতে পারে, এটাই বাস্তব।’

আরও পড়ুনঃ প্রকল্প শেষ হলে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে বাধ্য করা হচ্ছে! পোস্ট অফিস নিয়ে নতুন অভিযোগ

অন্য একজন লিখেছেন, ‘কোনোদিন ওই রুটে চলবে না। ভায়া রামপুরহাট হলে আলাদা কথা। কারণ ট্রেনটা ডানকুনিতে এসে সাইডলাইন হয়ে খড়্গপুর লাইনে ঢুকতে হবে। ওটা মেইন লাইন দিয়ে কীভাবে যাবে?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘বন্দেভারত চালিয়ে এই রুটে লাভ হবে না , সাধারণ মেল এক্সপ্রেস ঠিক আছে।’

Leave a Comment