বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: অবশেষে 17,000 কোটি টাকায় বিক্রি হয়ে গেল ঋণগ্রস্ত সংস্থা জয়প্রকাশ অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড। আটকাতে পারলেন না স্বয়ং গৌতম আদানিও। আদানি ইন্ডাস্ট্রিকে টপকে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাতা সংস্থা JAL কিনে নিলেন বেদান্ত গ্রুপের কর্ণধার অনিল আগরওয়াল (Vedanta Group Buys JAL)।
বিরাট ঋণের বোঝা নিয়ে দেউলিয়া হয়ে যায় JAL সংস্থাটি
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, জয়প্রকাশ অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড কোম্পানিটি একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার পর তা পরিশোধ করতে না পারায় ব্যাঙ্কগুলির তরফে ওই সংস্থাটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বলা বাহুল্য, JAL সংস্থাটি একাধিক ব্যাঙ্কের কাছ থেকে সর্বসাকুল্য 57,185 কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। দীর্ঘদিন সেই ঋণের বোঝা নিয়ে ধুঁকতে থাকার পর অবশেষে নতুন ক্রেতা খুঁজে পেল এই সংস্থা।
অনিলের কাছে হার স্বয়ং গৌতম আদানির
যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকারী সংস্থাটি কেনার দৌড়ে বেদান্ত গ্রুপের পাশাপাশি এগিয়েছিল গৌতম আদানির আদানি গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিও। দুই সংস্থাই ঋণগ্রস্ত জয়প্রকাশ অ্যাসোসিয়েট লিমিটেডকে কেনার জন্য দরপত্র জমা দিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত দাম দিয়ে সংস্থাটি কিনতে সফল হন বেদান্ত গ্রুপের মালিক অনিল আগরওয়াল। রিপোর্ট যা বলছে, অনুমোদনের পর বেদান্ত গ্রুপ জেপি অ্যাসোসিয়েটকে প্রথম ধাপে 4,000 কোটি টাকা দেবে। এরপর বাকি অর্থ আগামী পাঁচ বছর থেকে ছয় বছরের মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে পরিশোধ করা হবে।
অবশ্যই পড়ুন: স্পিনে ঘায়েল হবে টিম ইন্ডিয়া! ‘ওদের কপালে দুঃখ আছে’ বলে হুঁশিয়ারি পাক অধিনায়কের
JAL সংস্থাটির বর্তমান সম্পত্তি
একাধিক রিপোর্ট খতিয়ে দেখে জানা গেল, জয়প্রকাশ অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড নামক ঋণগ্রস্থ সংস্থাটির হাতে বর্তমানে নয়ডায় জেপি গ্রিনস, উইশটাউন, জিওয়ার বিমানবন্দরের কাছে স্পোর্ট সিটি হোটেল, সিমেন্ট প্ল্যান্ট, জেপি প্যালেস, কনভেনশন সেন্টার, বেশ কিছু রিসোর্ট সহ একাধিক বাণিজ্যিক সম্পত্তি রয়েছে, যা খুব শীঘ্রই চুক্তি মতো বেদান্ত গ্রুপের অধীনে চলে যাবে। এগুলি ছাড়াও, নাইগাধি I এবং নাইগাধি II সেচ প্রকল্প, অরুণ 3 জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, পালামুরু রাঙ্গারেড্ডি লিফট সেচ প্রকল্পের মতো একাধিক প্রকল্পও অনিল আগরওয়ালের হাতে উঠবে বলেই খবর।