আবার নারীঘটিত কেচ্ছা CPIM-এ! মান বাঁচাতে তরুণ নেতাকে বহিষ্কার করলেন সেলিম

CPIM

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সামনে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন, এই সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে শাসকদল থেকে বিরোধীদল গুলোর মধ্যে ভোট প্রচারের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে, এদিকে নির্বাচন নিয়ে খানিকটা গা এড়িয়ে চলেছে সিপিআইএম (CPIM)। এমতাবস্থায় আরও একবার মহিলাঘটিত কেলেঙ্কারির অভিযোগে উঠল সিপিআইএম নেতার বিরুদ্ধে।

সিপিআইএমে ফের মহিলাঘটিত কেচ্ছা

রিপোর্ট মোতাবেক, মহিলাঘটিত কেলেঙ্কারির অভিযোগে এবার বহিষ্কৃত হলেন সিটু নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ। বেলঘরিয়ার এক তরুণী সিপিএম কর্মী অভিযোগ করেছেন যে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে সহবাস করেছেন ইন্দ্রজিৎ। অভিযোগকারিণীর বাবা ও মা-ও পার্টির সদস্য ফলে বিষয়টি আর ‘ব্যক্তিগত’ থাকেনি, পুরোপুরি রাজনৈতিক হয়ে ওঠে। এদিকে তদন্ত করতে গিয়ে কমিটি জানতে পেরেছে এটা শুধু একটি ঘটনা নয়। একের পর এক সাক্ষ্য সামনে এসেছে। যাঁরা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাঁরাও বেশির ভাগই রাজনৈতিক পরিসরের মানুষ। অর্থাৎ আন্দোলনের মঞ্চ, সংগঠনের অফিস, সবই নাকি হয়ে উঠেছিল ‘ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্র’। তার ভিত্তিতে এবার দল বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে।

প্রকাশ্যে আনা হয়েছে স্ক্রিনশট

জানা গিয়েছে, ভাঙড়ের বড় হলেও বহিষ্কৃত নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষের রাজনৈতিক বাসস্থান ছিল মূলত কলকাতাতেই। এসএফআই, ডিওয়াইএফআই পেরিয়ে সিটু, এরপর চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে ‘পরিচিত মুখ’ ছিলেন তিনি। আর আগে গত এপ্রিলে তামিলনাড়ুর মাদুরাই-এ সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস চলাকালীনও এক তরুণী ইন্দ্রজিতের বিরুদ্ধে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তোলেন। প্রকাশ্যে আনেন সোশ্যাল মিডিয়া চ্যাটের স্ক্রিনশট। সেই সময় ওই ঘটনা নিয়ে কোনো রকম মন্তব্য করা হয়নি, তবে এবার বেলঘরিয়ার তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতেই ইন্দ্রজিৎ-এর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।

আরও পড়ুন: প্রভাবশালীদের চাপে তিন গুণ অ্যাক্সেস কার্ড! যুবভারতী কাণ্ডে বিস্ফোরক শতদ্রু দত্ত

গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার আলিমুদ্দিন পার্টির রাজ্য কমিটির বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল, সেখানে মহম্মদ সেলিম ইন্দ্রজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করেন। ঘটনার বিশদ ব্যাখ্যায় না গিয়ে সেলিম শুধু ঘোষণা করেন, দলের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটিতে যে অভিযোগ জমা পড়েছিল, তার ভিত্তিতেই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেহেতু ইন্দ্রজিৎ রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ দিল্লিতে সিপিএমের আইসিসির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তারাও বহিষ্কারের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিয়েছে। বহিষ্কারের পর ইন্দ্রজিৎ এর সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছুটা অনুযোগের সুরে বলেন, তাঁর কথা সে ভাবে শোনা হয়নি।

Leave a Comment