আবাসের টাকা ঢুকতেই নিয়ে চম্পট তৃণমূল ঘেঁষা ঠিকাদার! হুগলিতে চাঞ্চল্য

Hooghly

প্রীতি পোদ্দার, বৈদ্যবাটি: সামনেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যস্ততা তুঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির। আর এই আবহে রাজ্যে যখন SIR নিয়ে বিতর্ক চরম আকার ধারণ করেছে ঠিক সেই সময় ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল আবাস যোজনার টাকার নয়ছয়ের অভিযোগ। অভিযোগ হুগলির (Hooghly) এক গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গেলেও আবাসের ঘর না বানিয়ে টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে ঠিকাদার। উল্টোদিকে গ্রাহককে পাল্টা বাড়ি নির্মাণের চাপ দিল পুরসভা।

ঘটনাটি কী?

স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, হুগলির বৈদ্যবাটি পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ নগর এলাকায় আবাস যোজনার প্রকল্প নিয়ে ঘটল আজব ঘটনা। সরকার থেকে অ্যাকাউন্টে সঠিক সময়ে তিনটে কিস্তিতে আবাস যোজনার বাড়ির টাকা এলেও এখনও নানু চক্রবর্তী নামে গ্রাহকের বাড়ি তৈরি হয়নি। এদিকে তাঁর অভিযোগ এলাকারই এক তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার সন্দীপ মিশ্রা ওরফে সনু বাড়ি তৈরি করে দেবেন বলে ২ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা ধাপে ধাপে নিয়েছিলেন। সেই টাকা পেয়ে বাড়ির ভিত থেকে অল্প কিছু কাজ করেন। কিন্তু তারপরই বেপাত্তা হয়ে যান ওই ঠিকাদার। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়।

ভয়ঙ্কর অভিযোগ গ্রাহকের

জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের আবাস যোজনার স্কিমের টাকায় কাজ শুরু হলেও, এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি সরকারের বাড়ি। ভিত নির্মাণ হলেও বন জঙ্গলে ভর্তি হয়ে আছে নানু চক্রবর্তী নামে ওই গ্রাহকের জায়গা। এই ঘটনার শীঘ্রই সমাধান পাওয়ার লক্ষ্যে তিনি ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছেন মহকুমা শাসক ও বৈদ্যবাটি পুরসভা ও শ্রীরামপুর থানায়। নানু চক্রবর্তী বলেন, “পুরসভা থেকে আমায় বলা হয়েছে ঘরের টাকা পেয়েছেন, ঘর তৈরি করতে হবে। তা না হলে টাকা ফেরত দিতে হবে। নয়তো পুরসভার পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেশ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।”

আরও পড়ুন: তিন মাসে বাংলা ছেড়ে গিয়েছে ২০৭টি সংস্থা! সাড়ে ১৪ বছর কত জানেন?

আবাস যোজনার ঠিকাদারের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ নিয়ে বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো বলেন, “পুরসভার নিজস্ব কোনও ঠিকাদার নেই। আবাস যোজনার টাকা উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি যায়। এরপর বাড়ির কাজ কাকে দিয়ে কাজ করাবেন তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। সবসময় দুষ্কর্ম হলে সবাই বলে তৃণমূলের নেতা, এটা ঠিক নয়। পুরসভা থেকে তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। আমরা বলেছি বাড়ি কমপ্লিট করতে হবে,তা না হলে টাকা ফেরত দিতে হবে।”

Leave a Comment