“আমি ওকে ছাড়া …”, কুম্বলের জন্য BCCI-র আদেশও অমান্য করেছিলেন সৌরভ!

Sourav Ganguly fought with selectors and disobeyed the BCCI’s order

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: দলকে জেতাতে একজন অধিনায়ককে কী কী না করতে হয়। রণকৌশল ঠিক করা থেকে শুরু করে কোন কোন প্লেয়ারকে খেলানো যাবে, কাদের ছাড়া চলবেই না, কাদের বাদ দিতে হবে, কীভাবে প্রতিপক্ষকে হারানো যাবে এসব কিছু নিয়ে মাথাব্যথা সবচেয়ে বেশি যদি কারও থেকে থাকে তিনি হলেন দলের অধিনায়ক। অনেক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তাদের আদেশও অমান্য করতে হয় তাঁদের। সেটাই করেছিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি (Sourav Ganguly)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বর্ডার গাভাস্কার ট্রফির সময় অনিল কুম্বলকে দলে রাখার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আদেশও অমান্য করেছিলেন দাদা!

অনিল কুম্বলেকে দলে রাখতে নির্বাচকদের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন সৌরভ!

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, পুরনো স্মৃতিচারণা করেছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। সালটা 2003। সে বছর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বর্ডার গাভাস্কার ট্রফির টেস্ট সিরিজের জন্য দল গোছানো নিয়ে যথেষ্ট সমস্যায় পড়েছিল বোর্ড। সৌরভ গাঙ্গুলির বক্তব্য, সে বছর অনিল কুম্বলেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের জায়গা দেওয়ার বিষয়ে একেবারেই মত ছিল না নির্বাচন কমিটির। নির্বাচকরা চেয়েছিলেন অনিলকে ছাড়াই অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দল গোছাতে। তবে সেই সময় কুম্বলেকে দলে নেওয়ার বিষয়ে একেবারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন সৌরভ।

দাদা জানান, তিনি একেবারে ঠিক করে নিয়েছিলেন তাঁকে নিয়েই অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে যাবেন। এর জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে শুরু করে নির্বাচকদের সাথে যথেষ্ট মতবিরোধ এবং তর্ক বিতর্কও হয়েছিল তার। কাঁধের চোটের কারণে 2001 সালের টেস্ট সিরিজে অংশ নিতে পারেননি কুম্বলে। হয়তো এরপর 2003 এ ভারতীয় দলের জায়গায় করতে পারতেন না যদি না পাশে একেবারে ঢাল হয়ে দাঁড়াতেন সৌরভ।

সে প্রসঙ্গে কথা বলতে বলতেই মহারাজ বললেন, “2003 সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে অনিল কুম্বলে একেবারে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এবং তিনিই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছিলেন। আমার এটা স্পষ্ট মনে আছে, আমাকে নির্বাচকরা বলেছিলেন যে নিউজিল্যান্ড সিরিজের সময় ড্যানিয়েল দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন। আমাদের বাঁ হাতি স্পিনার দরকার। আমি বলেছিলাম, না আমি অনিলকে ছাড়া যাব না। সেই রাতে হায়দরাবাদে সেমিফাইনালের পর সব মনে আছে। আমাকে বলা হয়েছিল, দল যদি ভাল পারফর্ম না করতে পারে তবে আমাকে অধিনায়কের পদ থেকে সরে যেতে হবে। আমি বলেছিলাম সিরিজ শেষ হলে দেখা যাবে…” শেষ পর্যন্ত খেলা ড্র হলেও বর্ডার গাভাস্কার ট্রফি এসেছিল ভারতের ঘরেই।”

অবশ্যই পড়ুন: “১ হাজারে পেট চলে না”, কেন পেনশন বাড়াচ্ছে না সরকার জানেন?

প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজের পাশাপাশি সে বছর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি সিরিজ খেলেছিল ভারত। পশ্চিমের দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে টেস্ট এবং ওয়ানডে দুই সিরিজেই ভারতকে জিতিয়ে এসেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। সেইসব পুরনো কথা স্মরণ করেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সৌরভ বললেন, “আমাকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছিল। আমার মনে আছে সাংবাদিকরা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তান থেকে খুব বেশি কেউ জিতে ফিরতে পারেনি। এগুলো আমার কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল। সেক্ষেত্রে ভারতের অধিনায়ক হতে গেলে আপনাকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হবে। তাই উঠে দাঁড়ান এবং নিজেকে প্রস্তুত করুন।”

Leave a Comment