আমেরিকার থেকে LPG আমদানি করেও কমবে না দাম! আশঙ্কায় ভারতবাসী

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এমনিতে টালমাটাল। তবে তারই মধ্যে আমেরিকার থেকে বিপুল পরিমাণে এলপিজি গ্যাস আমদানির জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে নয়া দিল্লি (India US LPG Trade)। আর সেই চুক্তি অনুযায়ী ভারতের তেল সংস্থাগুলি তাদের মোট আমদানি এলপিজি গ্যাসের কমপক্ষে ১০% আমেরিকা থেকে সংগ্রহ করবে। এতে দেশীয় বাজারে পড়বে প্রভাব। দেশের মানুষ এবার অনেকটা সস্তায় পেতে পারে গ্যাস সিলিন্ডার। তবে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে পরিবহন খরচ।

আমেরিকা থেকে গ্যাস আমদানি ভারতের

জানিয়ে রাখি, এই নয়া চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন সংস্থাগুলি ২০২৬ সাল থেকে মার্কিন উপসাগরে উপকূল থেকেই এলপিজি গ্যাস আমদানি করবে। আর মার্কিন বেলভিউ বেঞ্চমার্কের আওতায় এই এলপিজি আমদানি করা হবে বলে খবর। বিপিসিএল, আইওসি এবং এইসপিসিএল এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেই এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদিপ সিং পুরি বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি সত্ত্বেও চুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় সংস্থাগুলি সাধারণ মানুষকে স্বল্প মূল্যে এলপিজি গ্যাস সরবরাহ করবে।

আরও পড়ুনঃ ২০২৬ সালে ১৩ মাসে বছর! ৩০ নয়, ৬০ দিনের হবে এই মাস, জানুন এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব

শুধু এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী এদিন আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশের তেল সংস্থাগুলি উজ্জ্বলা প্রকল্পের আওতায় মাত্র ৫০০ টাকা বা ৫৫০ টাকায় সিলিন্ডার দিচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেকটাই কম। আর এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার ব্যয় করতে হয়। তবে আমেরিকার সঙ্গে এলপিজি আমদানির চুক্তি হলে বাণিজ্য আমদানিতে ভারসাম্য আসবে, আর সামগ্রিকভাবে দেশবাসী এতে লাভবান হবে।

চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে পরিবহন খরচ

তবে নয়া দিল্লির এই পদক্ষেপ সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক মনে হলেও পরিবহন খরচ নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। হ্যাঁ, কূটনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকে নিশ্চিতভাবেই গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত। কারণ, এই চুক্তির মাধ্যমে পশ্চিম এশিয়ার উপর নির্ভরতা অনেকটাই কমবে। তবে ক্রিসিল দাবি করছে যে, আমেরিকার সঙ্গে চুক্তির ফলে ভারতের সামনে নতুন সুযোগ তৈরি হলেও পরিবহন খরচ বাড়তি চাপ ফেলবে। কেন্দ্র সরকারকে এলপিজি আমদানি করার জন্য অতিরিক্ত খরচ করতে হবে। যার ফলে পশ্চিম এশিয়ার তুলনায় আমেরিকায় এলপিজি কেনার খরচ কিছুটা বেশি হবে। তাই সামগ্রিকভাবে দেশে এলপিজি গ্যাসের দাম কমবে কিনা তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।

Leave a Comment