প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের রাতের অন্ধকারে ধর্ষিত উনিশ বছরের তরুণী। অভিযোগের আঙুল উঠেছে প্রতিবেশি দুই যুবকের বিরুদ্ধে। মায়ের ঘরের দরজা বন্ধ করে কুকীর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে দত্তপুকুরে (Duttapukur)। অভিযোগ করতেই আরজি কর করে দেওয়ায় হুমকি নির্যাতিতাকে। এই মুহুর্তে গ্রেপ্তার এক অভিযুক্ত, এখনও অধরা দ্বিতীয়জন।
ঘটনাটি কী?
রিপোর্ট অনুযায়ী, কয়েকদিন আগে গভীর রাতে দত্তপুকুরে চিলেকোঠা দিয়ে ঘরে ঢুকে ১৯ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী দুই যুবক শুভ সাহা এবং সঞ্জয় দাস। নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁর মায়ের ঘরে বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ওই দুই যুবক। অভিযোগ, নির্যাতিতার ঘরে ঢুকে মুখ ও গলা চেপে ধরে তাঁকে যৌন নির্যাতন করা হয়। তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেলা হয় এবং শরীরজুড়ে আঁচড়ের দাগ দেওয়া হয়। এরপর কোনওরকমে পালিয়ে তিনি মায়ের ঘর খুলে দেন। তখনই পালায় অভিযুক্তরা। তবে পালানোর আগে নাকি ওই দুই যুবক থানায় অভিযোগ করলে ‘আরজি করের মতো ঘটনা ঘটিয়ে দেওয়া হবে’ বলে হুমকি দিয়ে যায়।
ক্রমাগত হুমকি অভিযুক্তের
এরপর শারীরিক নির্যাতনের এই ভয়ংকর ঘটনা হুমকি এবং শাসানির ভয়ে চেপে না রেখে দত্তপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বছর ১৯ এর ওই নির্যাতিতা। এরপরই তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় সঞ্জয়কে। কিন্তু পলাতক শুভ। কিন্তু পালিয়ে গিয়েও কেন থানায় অভিযোগ করা হয়েছে, এনিয়ে ক্রমাগত নির্যাতিতা পরিবারকে হুমকি দিয়ে চলেছে অভিযুক্ত শুভ। আতঙ্কে কার্যত গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, “ঘর বাইরে থেকে আটকে দিয়ে মেয়েকে নির্যাতন করেছে ওরা। আমি পাশের ঘরে বন্দি হয়ে কিছুই করতে পারিনি। পুলিশ একজনকে ধরলেও অন্যজন এখনও হুমকি দিচ্ছে।”
আরও পড়ুন: ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত অগ্নিমিত্রা পাল! কেমন আছেন এখন?
এলাকার মেয়ের ওপর এইরূপ নারকীয় শারীরিক অত্যাচারের ফলে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ রাতে দত্তপুকুর থানা এলাকার নজরদারি যথেষ্ট হচ্ছে না এলাকায়। দুষ্কৃতীকে কেন ধরতে পারছে না পুলিশ? এমনকি মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এই বিষয়ে বারাসতের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতীশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরজনকে ধরতে তল্লাশি চলছে। আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই অপরজন ধরা পড়বে। ”