সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে তৃণমূলের এক বিধায়ককে ঘিরে তৎপর হয়েছে সিবিআই। শনিবার দুপুরবেলা শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের (Sudipta Roy) সিঁথির বাড়িতে গিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার দুই আধিকারিক হানা দেয়। যদিও সেই সময় বিধায়ক বাড়িতে ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছে, বিধায়ক বাড়ি ফিরলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
কেন শিরোনামে সুদীপ্ত রায়?
রিপোর্ট অনুযায়ী, আরজি কর মেডিকেল কলেজের মহিলা ধর্ষণকাণ্ড সামনে আসার পর রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সুদীপ্ত রায়কে সরানো হয়েছিল। তার পরিবর্তে শান্তনু সেনকে পদে বহাল করা হয়। তবে তার আগে আরজি করের প্রশাসনিক অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগে বারবারই তার নাম প্রকাশ্যে উঠে এসেছিল।
এমনকি এটি প্রথমবার নয়। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে সিবিআই-এর অপরাধ দমন শাখা তল্লাশি চালিয়েছিল সুদীপ্ত রায়ের সিঁথির বাড়িতে। সে সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন যে, ওই তৃণমূল বিধায়ক আরজি কর মেডিকেল কলেজের যন্ত্রপাতি নিজের নার্সিংহোমে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
তবে সেই অভিযোগে তিনি অস্বীকার করে বলেছিলেন, 1984 সালে আমি নার্সিংহোম তৈরি করেছিলাম। বাম আমল থেকেই পরিশ্রম করে ওই নার্সিংহোম দাঁড় করিয়েছি। যে কেউ চাইলে এসে দেখে যেতে পারে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
ঘটনার সূত্রপাত কোথায়?
উল্লেখ্য জানিয়ে রাখি, গত বছরের 9 আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার করা হয় এক মহিলা চিকিৎসকের রক্তাক্ত মৃতদেহ। তাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। আর সেই দিনই হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিল সুদীপ্ত রায়। ঘটনার পর থেকে গোটা বিষয়টি নিয়ে চলে আসছে রাজনৈতিক জলঘোলা।
আরও পড়ুনঃ মহাকাশ জগতে ঝড় তুলবে ভারত! শতাধিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ISRO
তবে তদন্তকারীরা মনে করছে, আরজি কর হাসপাতালে বিভিন্ন দুর্নীতির নেপথ্যে রাজনৈতিক নেতাদের হাত থাকতে পারে। সেই সূত্র ধরেই একাধিকবার বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের নাম উঠে এসেছে। যদিও তার দাবি, সমস্ত অভিযোগ রাজনৈতিক চেয়ারকে নাড়ানোর জন্যই করা হচ্ছে।