বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: চিনের ধৃষ্টতা সম্পর্কে অবগত ভারত। তাই বিগত দিনগুলিতে জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে নয়া দিল্লি। চলতি বছরেও সেই ধারাই অব্যাহত রয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ভারতের ন্যাশনাল স্পেস প্রমোশন অ্যান্ড অর্গানাইজেশন সেন্টার ইতিমধ্যেই একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এশিয়া স্যাটেলাইট টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির AS-5 এবং AS-7 স্যাটেলাইট ব্যবহারের অনুমোদন বাতিল করল কেন্দ্র।
দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমন সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কোনও নির্দিষ্ট কারণ জানায়নি কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। তবে মনে করা হচ্ছে, AsiaSat এ চিনের অংশীদারিত্ব থাকায় জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষার্থে এমন সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি।
স্যাটেলাইট কোম্পানির প্রধান অংশীদার চিন
রিপোর্ট অনুযায়ী, AsiaSat স্যাটেলাইট কোম্পানিটিতে ড্রাগনের অংশীদারিত্ব রয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই সংস্থার প্রধান শেয়ারহোল্ডারদের তালিকায় নাম রয়েছে চিন সরকারের মালিকানাধীন সংস্থা CITIC গ্রুপ কর্পোরেশন এবং Caryle Asia Partners IV ও LP-র। মূলত সে কারণেই, জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সংস্থাটির স্যাটেলাইটগুলি আর ব্যবহার করা যাবে না।
বলা বাহুল্য, ভারত সরকারের এই নয়া সিদ্ধান্তে অবশেষে বন্ধ হতে চলেছে AS-5 এবং AS-7 স্যাটেলাইটের ব্যবহার। যেই নয়া নিয়ম কার্যকর হবে আগামী 2026 সালের 31 মার্চ থেকে। অর্থাৎ এই তারিখের পর থেকে আর এই স্যাটেলাইটগুলি ভারতে ব্যবহার করা যাবে না।
বিকল্প খুঁজছে JioStar এবং Zee Entertainment
ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, চিন সমর্থিত সংস্থার স্যাটেলাইট পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগেই ভারতের দুই বৃহৎ সম্প্রচার সংস্থা JioStar ও Zee Entertainment-কে তাদের বিকল্প স্যাটেলাইট খুঁজে নিতে হবে। কেননা, এতদিন এই দুই সম্প্রচারকারী সংস্থা AsiaSat এর স্যাটেলাইট ব্যবহার করে এসেছে।
যদিও এ প্রসঙ্গে সম্প্রসারকারী সংস্থার এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দেশের দুই বৃহৎ সম্প্রচারকারী সংস্থা এবার ভারত সরকারের অনুমোদিত স্যাটেলাইট GSAT ও INTELSAT এর দিকে ঝুঁকছে। তবে ওই ব্যক্তির দাবি, পরবর্তীতে এই পরিবর্তনের কারণে সম্প্রচারকরা প্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিক স্তরে বড়সড়ু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন।
অবশ্যই পড়ুন: ‘এতক্ষণে আমি মর্গে থাকতাম!’ কোচবিহারে হামলার ঘটনায় মুখ খুললেন শুভেন্দু
উল্লেখ্য, AsiaSat এর অধীনে মোট 6টি স্যাটেলাইট রয়েছে। যার মধ্যে AS 5 ও AS 7 এর অনুমোদন ইতিমধ্যেই বাতিল করেছে ভারত সরকার। বিশেষজ্ঞদের আশা, এবার হয়তো বিদেশি স্যাটেলাইটের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় বিকল্পগুলির প্রতি মনোযোগী হবেন সম্প্রচারকরা।