বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (Indian Super League) নিয়ে জট যেন কাটছেই না। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই কার্যত অন্ধকারে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ফুটবল লিগের ভবিষ্যৎ! আর ঠিক সেই আবহে এবার উদ্ধারকর্তার ভূমিকা নিল খোদ কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবারই, সুপ্রিম কোর্টে ISL নিয়ে শুনানির সময় কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা একেবারে স্পষ্ট জানান, ইন্ডিয়ান সুপার লিগের বিষয়টিতে ক্রীড়া মন্ত্রকের কড়া নজর রয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় ফুটবল লিগ বন্ধ হতে পারে না, সেটা হবেই। তবে গোটা ব্যবস্থাপনার জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন।
ISL আয়োজন করতে ময়দানে কেন্দ্রীয় সরকার
বিগত দিনগুলিতে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ নিয়ে সংশয় ক্রমশ বেড়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় ফুটবল লিগের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় হতাশ বিভিন্ন ক্লাব কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে ফুটবলাররাও। যা নিয়ে বারবার সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের দরজায় কড়া নেড়েও কাজ হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত কল্যান চৌবের নেতৃত্বাধীন ফেডারেশনকে কার্যত বয়কট করেই ক্রীড়ামন্ত্রকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ISL ক্লাবগুলি। তাতে শুরুর দিকে সমাধান না মিললেও শেষমেষ শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চকে জানিয়েছেন, কেন্দ্র চায় যে কোনও প্রকারে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ পুনরায় আয়োজিত হোক।
সরকার পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, ক্লাবগুলি যাতে সমস্যায় না পড়ে, ফুটবলাররা যাতে নিজেদের প্রিয় খেলা চালিয়ে যেতে পারেন সেই সব দিক মাথায় রেখেই ভারতীয় ফুটবলের স্বার্থে ISL আয়োজনের জন্য প্রয়োজন হলে কেন্দ্র সরকার বড় পদক্ষেপ নেবে। তবে গোটা বিষয়টাই হবে ফিফার নিয়ম নীতির মধ্যে থেকে। মেহতার কথায়, “আর যাই হোক ইন্ডিয়ান সুপার লিগ হবেই। তবে গোটা ব্যবস্থাপনার জন্য অন্তত দুটো সপ্তাহ প্রয়োজন।”
অবশ্যই পড়ুন: CSK বা KKR নয়, IPL 2026 নিলামে নামার প্রয়োজন নেই এই দলের! জানালেন খোদ কর্ণধার
উল্লেখ্য, ইন্ডিয়ান সুপার লিগ অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় যথেষ্ট সমস্যায় পড়েছে ক্লাবগুলি। যাবতীয় কার্যকলাপ বন্ধ করে দিয়েছে কেরালা ব্লাস্টার্স, ওড়িশা এফসি-র মতো দল। ISL নিয়ে রফাসুত্র না মেলায় অনুশীলন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মোহনবাগানও। এদিকে জনপ্রিয় ফুটবল লিগ পুনরায় চালু করতে কখনও সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন কখনও BCCI কখনও আবার কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শেষ পর্যন্ত কি তাতেই মিলতে চলছে সমাধান সূত্র? উত্তরটা আপাতত তোলাই থাক।