সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ মূল্যবৃদ্ধির বাজারে জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বাড়ছে। তার ওপর সাধারণ ডিমের (Egg) দামও দিন দিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। মানুষ খাবে কী? সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এসবের মাঝে যদি দোকানদার আবার নকল ডিম দিয়ে দেয় তাহলে তো দুঃখের শেষ থাকে না। তবে চিন্তা নেই, এবার আপনি খুব সহজে বাড়িতে বসেই বা দোকানে থেকেই আসল, নকল ডিমের পরিচয় পেয়ে যাবেন। নিশ্চয়ই ভাবছেন কীভাবে? চলুন জেনে নেবেন।
নকল ডিম চিনবেন কীভাবে?
শীতকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় মুরগি এবং ভারতীয় ডিমের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে আমিষভোজীদের জন্য, ডিম শক্তি এবং উষ্ণতার একটি চমৎকার উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। এতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং ওমেগা-৩ এর মতো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ, যা শরীরকে অসুস্থতা থেকে রক্ষা করতে এবং শীতকালে শক্তি প্রদান করতে সাহায্য করে। তবে আপনি যে ডিম রোজ খাচ্ছেন সেটা আসল না নকল সেটা জানেন কী?
আরও পড়ুনঃ মালদা টাউন-দীঘা শীত স্পেশাল ট্রেন ঘোষণা পূর্ব রেলের, দেখুন সময়সূচি
ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে সাথে বাজারে নকল ভারতীয় ডিমের বিক্রিও বেড়েছে। এহেন অবস্থায় আজ আপনাদের আসল এবং নকল ডিমের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য কিছু টিপস শেয়ার করা হবে। আসুন ভারতীয় ডিমের উপকারিতা এবং আসল এবং নকল ডিমের মধ্যে পার্থক্য করার সহজ উপায়গুলি জেনে নিন। দেশি ডিম হালকা বাদামী রঙের এবং আকারে ছোট। বিপরীতে, নকল ডিম সাদা এবং বড় হয়। কখনও কখনও, নকল ডিম চা পাতায় ডুবিয়ে বাদামী রঙ করে বিক্রি করা হয়। দেশি ডিমের স্বাদ কিছুটা নোনতা এবং সুস্বাদু, অন্যদিকে নকল ডিমের স্বাদ ম্লান। দেশি ডিমের খোসা ঘন এবং শক্ত, অন্যদিকে নকল ডিমের খোসা পাতলা এবং নরম। আসল ডিম নিস্তেজ এবং রুক্ষ হয়। নকল ডিম চকচক করে। ঘষার সময়, চা পাতার রঙ ফ্যাকাশে হতে শুরু করে। আসল ডিমের ক্ষেত্রে এটি ঘটে না। নকল ডিমে সামান্য চা পাতার সুগন্ধ থাকে, যখন আসল ডিমে কোনও গন্ধ থাকে না।
শীতকালে ডিম খাওয়ার উপকারিতা
দেশি ডিম প্রোটিন, ভিটামিন এ, ই, কে এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ, যা শরীরকে শক্তি এবং শক্তি প্রদান করে। দেশি ডিমের উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব রয়েছে, যা ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা জিঙ্ক এবং ফসফরাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করে, অন্যদিকে ওমেগা-৩ মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।