প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের ঘটনার পুনরাবৃত্তি! ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামায় ফের চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হল আসানসোলে! ভবিষ্যতে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দ্রুত এই ধসের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। এর আগেও কলকাতা-দিল্লি ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ধসের ঘটনা ঘটেছিল। তার উপর কিছুদিন আগেই কুলটি থানা চৌরঙ্গী মোড়ের কাছে সার্ভিস রোডে ধস নামে। যার জেরে ব্যাহত হয় যান চলাচল।
ঘটনাটি কী?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার, আসানসোল সংলগ্ন কাল্লা মোড় এলাকার সার্ভিস রোডে গভীর রাতে হঠাৎ করে ধস নামে। যার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকা জুড়ে। আজ সকালে স্থানীয় মানুষজন এবং গাড়ি চালকেরা বিষয়টি জানতে পেরে সকলকে সতর্ক করেন যাতায়াত করা নিয়ে। এদিকে খবর পৌঁছতেই আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ এলাকা ঘিরে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। সাময়িকভাবে যান চলাচল থমকে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ঠিক কী কারণে জাতীয় সড়কের মধ্যে এমন ধস নামল তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন সকলে। শুধুই কি ভারী বৃষ্টির কারণে নাকি খনি জনিত কারণে তা এখনও পরিষ্কার নয়।
বিক্ষোভ শুরু স্থানীয়দের
একের পর এক ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে এই ধরনের ঘটনায় মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগকে নির্দেশ দেন। তারা এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ঘটনার বিশ্লেষণ করতে রোড সেফটি কমিটিও বিষয়টিতে নজর রেখেছে। এদিকে এই ঘটনার জেরে স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করেছে। তাঁদের দাবি আসানসোল থেকে সালানপুর চৌরঙ্গী এলাকার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় সড়কের উপর একের পর এক গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ যেন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, কারণ যেকোন মুহূর্তে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: চাকরির দাবিতে ফের সল্টলেকে বিক্ষোভ TET উত্তীর্ণদের! পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ একাধিক
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুত রাস্তার ধসে যাওয়া অংশটি মেরামত করা হবে। যদিও এই ঘটনায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়দের একাংশ। উল্লেখ্য, আগের মাসেই আসানসালের কাছে মরিচকোটায় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের মাঝে একটি বড় গর্ত দেখা গিয়েছ। যার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল এলাকায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার কর্তারা জায়গাটি ঘিরে ফেলেছিল। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আরও এক ধসের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।