ইন্দোনেশিয়ায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! ২৮০ জন যাত্রী থাকা ফেরিতে ভয়াবহ আগুন, মৃত একাধিক

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: রবিবার দুপুরবেলা ইন্দোনেশিয়ায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা (Indonesian Ferry Fire)। সমুদ্রপথে চলছিল এক যাত্রীবাহী ফেরি KM Barcelona 5। ফেরিটির গন্তব্য ছিল তালাউড দ্বীপপুঞ্জ থেকে মানাডো। এমনকি সেটিতে 280 জন যাত্রী এবং কিছু কর্মীও ছিল। তবে হঠাৎই সবকিছু বদলে গেল এক বিভীষিকা মুহূর্তে। 

ঠিক দুপুর বারোটা নাগাদ তালিসেই দ্বীপের কাছে এসে হঠাৎই ফেরিটির উপর আগুন ধরে যায়। ধোয়ার কুন্ডলী আর আগুনের লেলিহান শিখা গোটা জাহাজটিকে গ্রাস করে নেয় ও আতঙ্কে মানুষজন ছোটাছুটি করে। পাশাপাশি অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে উত্তাল সমুদ্রে ঝাঁপ দেয়।

নিহত অন্তত 5

অ্যাসোসিয়েট প্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, কমপক্ষে পাঁচ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায়। এমনকি তার মধ্যে একজন গর্ভবতী মহিলাও রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ এবং তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। 

ইন্দোনেশিয়ান ফ্লিট কমান্ডের ভাইস অ্যাডমিরাল ডেনিহ হেন্দ্রাতা জানিয়েছে যে, এখনো পর্যন্ত 284 জন যাত্রী এবং স্টাফকে জীবিত ভাবে উদ্ধার করা হয়েছে। আর এই উদ্ধারকার্যে সাহায্য করেছে ইন্দোনেশিয়া নৌ-বাহিনীর তিনটি জাহাজ এবং আশেপাশের স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। এমনকি অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে গিয়েছেন, তাদেরকে টেনেও তোলা হয়েছে।

বিভীষিকাময় মুহূর্ত ধরা পরল ক্যামেরায়

ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি সম্প্রতি কিছু ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, ধোঁয়ার কুণ্ডলীর মধ্যে ওই জাহাজটি কীভাবে ডুবে যাচ্ছে, আর জল থেকে তুলে আনা হচ্ছে যাত্রীদের। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে, আমরা যখন খাচ্ছিলাম, তখন হঠাৎই ধোঁয়া ঢুকে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোটা জাহাজে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রে ঝাঁপ দিই।

পাশাপাশি আব্দুর রহমান আগু নামের এক যাত্রী ফেরিতে থাকা অবস্থায় ফেসবুক লাইভে শুরু করে। ভিডিওতে দেখা যায় যে, তিনি এক শিশুকে কোলে নিয়ে সাহায্যের জন্য আকুতি মিনতি জানাচ্ছে। আর পেছনে ছড়িয়ে পড়েছে আগুনের লেলিহান শিখা। চারদিকে শুধুমাত্র আতঙ্ক আর হাহুতাশ ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুনঃ কলকাতায় ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে বাংলাদেশি লাভলি খাতুন, ভিডিও পোস্ট করল বিজেপি

এদিকে ইন্দোনেশিয়ার মতো দ্বীপনির্ভর বেশি নৌপথ সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কিন্তু দুর্ঘটনার সংখ্যাও দিনের পর দিন বাড়ছে। চলতি মাসেই বালির কাছে এক ফেরি ডুবে মৃত্যু হয়েছিল 19 জন যাত্রীর। এমনকি তার আগে মেন্তাওয়াই দ্বীপের কাছে একটি স্পিডবোট ঝড়ের কবলে পড়ে উল্টে গিয়েছে।

Leave a Comment