উত্তরকাশীতে ভয়াবহ বন্যা! মুহূর্তের মধ্যে ধূলিসাৎ গোটা গ্রাম, মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা প্রচুর

uttarkashi cloudburst

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে নেমে এল এক ভয়ঙ্কর মৃত্যুপুরী। হঠাৎ বিকট শব্দ, আর মুহূর্তের মধ্যে কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। তারপর শুরু হল ভয়াবহ বিপর্যয় ক্লাউডব্রাস্ট বা হড়পা বান (Uttarkashi Cloudburst)। উত্তর কাশীর গঙ্গা নদীর উপরের অংশের এই মেঘভাঙ্গা বৃষ্টি সৃষ্টি করল ভয়াবহ তাণ্ডব। নিমেষের মধ্যে ধুলিস্যাত হয়ে যায় গ্রামগুলি।

সুত্র মারফৎ যা খবর, এই আকস্মিক বন্যায় একাধিক প্রাণহানি হয়েছে, আর বহু মানুষ নিখোঁজ। গোটা গ্রাম কার্যত জলের তলায় ভেসে গিয়েছে। পাশাপাশি লোকাল হোটেল, হোমস্টে, দোকান, ঘরবাড়ি সবকিছুই একেবারে জলের তলায়।

কীভাবে ঘটল এই ভয়াবহ বিপর্যয়?

আজ হটাৎই স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ জলপ্রবাহ এসে ধরাালি গ্রামের শান্ত পাহাড়ি জীবনকে একেবারে ধূলিসাৎ করে দেয়। বর্তমানে কোথাও কাদা, আবার কোথাও পড়ে রয়েছে গাছপালা। গোটা এলাকা এখন এক ধ্বংসস্তূপ। জেলার ডিএম প্রশান্ত আর্য জানিয়েছেন, এ এক বিশাল ধ্বংসাত্মক ফ্ল্যাশ ফ্লাড। এখনই সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ধারকার্য সম্পন্ন করতে।

এদিকে ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ দলগুলি ওই এলাকায় পৌঁছেছে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে স্থানীয় সূত্র মারফৎ খবর, এখনো পর্যন্ত 10-12 জন শ্রমিক ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এর পাশাপাশি বনালা পাত্তি এলাকার বারকোট তহসিলেও প্রবল বৃষ্টিতে প্রচুর ছাগল এবং গাধা স্রোতে ভেসে গিয়েছে।

এদিকে ধরালি এলাকার ছোট ছোট বহু গেস্ট হাউস, হোটেল, রেস্তোরাঁ রয়েছে। অনেকেই তখন গভীর নিদ্রায় মগ্ন ছিলেন। তারা ঘুম ভেঙে দেখেন সবকিছুই শেষ, জল আসছে ঘরের ভেতর দিয়ে। কোনোরকমে জানলা ভেঙে কেউ কেউ পালিয়ে বাঁচেন। তবে অনেকেই ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়ে নিজের প্রাণ বলিদান নেন।

আরও পড়ুনঃ দেড় বছর পরেই লাগু হচ্ছে PAN 2.0, জানুন কী কী সুবিধা মিলবে

এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সরাসরি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি তৎক্ষণাৎ আইটিবিপি ও এনডিআরএফ দল পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। বর্তমানে উদ্ধার কার্য চলছে এবং হতাহতের সংখ্যা যে আরও বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Comment