উত্তর দিনাজপুরে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে নিজের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ বাবার!

Goalpokhar

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ডায়মন্ড হারবারের উস্তির পর ফের ন্যক্কারজনক ধর্ষণের ঘটনা ঘটল উত্তর দিনাজপুরে! নিজের নাবালিকা মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এবার বাবার বিরুদ্ধে! ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপুকুরে (Goalpokhar)। এই জঘন্য ঘটনার স্বামীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে রুখে দাঁড়ালেন স্ত্রী। লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকার জুড়ে।

ঠিক কী ঘটেছে?

স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর দিনাজপুরে গোয়ালপুকুর থানা এলাকায় নিজের নাবালিকা মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে কয়েক মাস আগে অভিযুক্ত মহেতাপ উদ্দিন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বেশ ঝামেলা করেছিল, এমনকি স্ত্রীর গায়ে হাতও তুলেছিল। শেষে বাধ্য হয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায় ওই মহিলা। বাড়িতে দুই মেয়েকে নিয়ে থাকছিলেন অভিযুক্ত। এদিকে বাড়িতে কেউ না থাকায় গত ৭ নভেম্বর বড় মেয়ের উপর কুনজর পড়ে মহেতাপ উদ্দিনের। বাবার এই অপকর্ম কিছুতেই নিজের মধ্যে লুকিয়ে না রাখতে পেরে শেষে গত রবিবার মামারবাড়ি চলে যায় নির্যাতিতা।

মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নাবালিকা

নির্যাতিতা কন্যা বাবার বিরূদ্ধে ধর্ষণের সমস্ত অভিযোগ তুলে ধরতেই স্বামীর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মা। সঙ্গে সঙ্গে সময় নষ্ট না করে গত রবিবার, স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিকে গোয়ালপুকুর থানার পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তির দাবি করে নির্যাতিতার মা। অন্যদিকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: “ষড়যন্ত্রকারীরা কিছুতেই রেহাই পাবে না..” ভুটান থেকে কড়া হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানা এলাকায় নাবালিকা মেয়েকে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বাবার বিরূদ্ধে। সেই অভিযোগ মায়ের কানে যেতেই সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে তিনি উস্তি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছিল এবং মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এদিকে এই অসভ্য এবং নির্মম অত্যাচারে অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন নাবালিকার মা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।

Leave a Comment