বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: দ্রুত গতিতে ছুটে আসা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিংয়ে ধাক্কা দেয়। আর সেই দুর্ঘটনার মাঝে পড়ে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ডেলিভারি বয়ের। এ পর্যন্ত গোটা ঘটনা প্রায় সকলেরই জানা। তবে সবচেয়ে অবাক করা বিষয়, সল্টলেকের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার 12 ঘন্টা পরও এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। যদিও ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু গ্রেফতারি কবে হবে? প্রশ্ন তুলে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন স্থানীয়রা।
ঠিক কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?
জানা যায়, গতকাল অর্থাৎ বুধবার বিকেলে সল্টলেকের একে ব্লক সংলগ্ন নতুন ব্রিজের কাছে হঠাৎ একটি ফোর হুইলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরপর দুটি বাইকে ধাক্কা মারে। যার মধ্যে একটি বাইকে ছিলেন একজন ডেলিভারি বয়। গাড়ির বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ওই যুবককে এক ধাক্কায় রেলিংয়ে নিয়ে যায় গাড়িটি। এদিকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে রেলিংয়ে আটকে ঝুলতে থাকেন ওই যুবক। আর এরই মাঝে হঠাৎ দাউ দাউ করে জ্বলে থাকে গাড়িটি।
A delivery boy was charred to death in a #RoadAccident in #SaltLake this evening. Heavy police continues to be deployed as locals protest. pic.twitter.com/TVyq1my8z9
— Sreyashi Dey (@SreyashiDey) August 13, 2025
রিপোর্ট অনুযায়ী, গাড়ির মধ্যে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করা গেলেও ফোর হুইলারটিতে আগুন ধরে যাওয়ায় ওই অগ্নি শিখায় জ্বলে ছাই হয়ে যান যুবক। ঘটনাস্থলেই জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয় ডেলিভারি বয় সৌমেন মণ্ডলের। অভিযোগ, যুবককে রাস্তার ধারে জীবন্ত পুড়ে যেতে দেখে ভিডিও করছিলেন স্থানীয় পুলিশ কর্মী থেকে শুরু করে ট্রাফিক গার্ডরা। আর তাতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইট বৃষ্টি। তড়িঘড়ি পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। তবে সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও মৃত্যুর 12 ঘন্টা পরও গাড়ির মালিক বা গাড়ির চালককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আর সেই ঘটনায় এখন তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে শহর কলকাতা!
অবশ্যই পড়ুন: গুলি ছুঁড়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন পাকিস্তানে! মৃত ৩, আহত কমপক্ষে ৬০
প্রসঙ্গত, নম্বর প্লেট থাকা সত্ত্বেও কেন গাড়ির চালক অথবা মালিককে ধরা গেল না তা নিয়ে এবার কলকাতা পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একই সাথে গোটা ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক যোগ রয়েছে কিনা সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই! একই সাথে, ওই যুবক রেলিংয়ের যে অংশে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছেন, সেই জায়গা নাকি অনাবৃত্ত। ফলে ফরেনসিক টিম সেখানে পৌঁছে যথাযথ তথ্য উদ্ধার করতে পারবেন কি না সে বিষয়েও সন্দেহের অন্ত নেই। ওদিকে মৃতর পরিবার গোটা ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে।