উদ্বোধনের একদিন পরেই ৯২৫ কোটির সেতু থেকে বিদ্যুতের তার চুরি! অন্ধকারে ডুবল ব্রিজ

Electrical cable stolen from Bangladesh 2nd Teesta Bridge

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বুধবার বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মানুষের সুবিধার্থে তিস্তার দ্বিতীয় সেতু উদ্বোধন করে স্থানীয় সরকার সহ ওপার বাংলার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

আর সেই উদ্বোধনের একদিনের মাথায় সেতু থেকে চুরি গেল 300 মিটারের বৈদ্যুতিক কেবল। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম বিডি টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নবনির্মিত ওই দ্বিতীয় তিস্তা সেতু থেকে কেবল চুরির ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।

কেবল চুরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় তিস্তা সেতু থেকে বৈদ্যুতিক কেবল চুরি হয়ে যাওয়ার পর সেতুর গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা ল্যাম্পপোস্টগুলির বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলত, কেবলের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় প্রতিটি লাইট। এরপরই অন্ধকার নামে গোটা সেতু জুড়ে।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর জানা যায়, সেতুর হরিপুর পয়েন্ট থেকে যে বিদ্যুৎ কানেকশন নেওয়া হয়েছিল ওই ল্যাম্পপোস্টগুলির জন্য তা কেটে কেবল চুরি করে নিয়ে গিয়েছে দুর্বৃত্তরা। যে ঘটনায় সন্ধ্যায় এবং অধিক রাতে সেতু দিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের।

শুধু তাই নয়, উদ্বোধনের পরের দিনই সেতু থেকে ইলেকট্রিক কেবল চুরির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় জনতা। তাদের মধ্যে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে এনে সেটির তীব্র নিন্দা করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে কেউ লিখেছেন, সেতু উদ্বোধনের পরের দিনই চুরি গেল ইলেকট্রিক কেবল। এই ঘটনা সত্যিই লজ্জার! আমরা সামান্য কেবলের লোভ সামলাতে পারলাম না! কেউ কেউ লিখছেন, এখন কেবল চুরি হয়েছে, কিছুদিন পর ব্রিজও ভেঙে পড়বে! সব মিলিয়ে, বাংলাদেশের দ্বিতীয় তিস্তা সেতু থেকে ইলেকট্রিকের কেবল চুরির ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতা।

অবশ্যই পড়ুন: বাংলাদেশকে কাজে লাগিয়ে এবার ভারতের পূর্ব প্রান্তে সক্রিয় হচ্ছে পাকিস্তান! সূত্র

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের দ্বিতীয় তিস্তা সেতু থেকে কেবল চুরির ঘটনাটি নিশ্চিত করেন ওপার বাংলার উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান মিলন। তাঁর সাফ বক্তব্য, কেবল চুরি হওয়ার ঘটনায় সেতুতে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা যায়নি। ফলে রাত হলেই সেতুর উপর থেকে ঘন অন্ধকারের মধ্যে দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

বলা বাহুল্য, সম্প্রতি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ব্যবহৃত 10টি চাকা চুরি করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ওই বিমান সংস্থার দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। জানা যায়, তারা বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানে ব্যবহৃত চাকাগুলি কোনও বেসরকারি বিমান সংস্থার কাছে বিক্রি করেছিলেন। আর সেই ঘটনার পরই এবার ৯২৫ কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত দ্বিতীয় তিস্তা সেতু থেকে বৈদ্যুতিক কেবল চুরির ঘটনায় ফের হাসির খোরাক হল বাংলাদেশ!

Leave a Comment