উলুবেড়িয়ায় সিভিকের ‘দাদাগিরি’! পাওনা আদায় নিয়ে ব্যক্তিকে চরম মারধর

Uluberia

প্রীতি পোদ্দার, উলুবেড়িয়া: রাজ্যে ক্রমেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের দাপট বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন সময়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ সামনে উঠে আসে শিরোনামে। কখনো সাধারণ মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার তো কখনো বা দাদাগিরি। এমনকি কখনো রাস্তায় চলাচল করা যানবাহন থেকে তোলা আদায় নিয়েও অভিযোগ উঠে এসেছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে। আর এবার পাওয়া টাকা ফেরত চাওয়াতে উলুবেড়িয়ার (Uluberia) এক ব্যক্তিকে রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে।

ঠিক কী ঘটেছে?

রিপোর্ট অনুযায়ী, হুগলির উলুবেড়িয়ার শ্যামপুর এলাকায় সাঁইবানিয়া গ্রামের বাসিন্দা আসফাকউদ্দিন খানের সঙ্গে শ্যামপুর থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার শেখ মইদুলের টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল। অভিযোগ আসফাকউদ্দিনের থেকে যে টাকা ধার নিয়েছিলেন মইদুল তা বারবার চাইলেই তা দেননি মইদুল। এবার সেই নিয়ে শুরু হয়েছে ঝামেলা। আর সেই সমস্যা মেটাতে গত সোমবার গ্রামে বসেছিল সালিশি সভা। নানা আলোচনায় বিষয়টি নিয়ে আরও জটিল সমস্যা তৈরি হয়। এদিকে টাকা নিয়ে আসফাকউদ্দিনের উপর রাগ ছিল সিভিক ভলান্টিয়ার মইদুলের। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।

গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে

পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, সালিশি সভায় পাওনা টাকা আদায় নিয়ে কোনো সমাধান না হওয়ায় সকলের মত আসফাকউদ্দিনও বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় সিভিক ভলান্টিয়ার মইদুল দুষ্কৃতী ভাড়া করে তাঁর উপর হামলা করার ছক কষেন। অভিযোগ, অন্ধকার রাস্তাতেই কিছু লোক রড, লাঠি নিয়ে চড়াও হন আসফাকউদ্দিনের উপর। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়! মারধরের খবর আসফাকউদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা জানতেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় ঝুমঝুমি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে। পরে কলকাতায় আবার রেফার করা হয়।

আরও পড়ুন: ভয়ংকর দৃশ্য রাজাবাজারে! ম্যানহোল পরিষ্কার করতে গিয়ে ভেসে উঠল যুবকের পচাগলা দেহ

ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী

জানা গিয়েছে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার শেখ মইদুল শ্যামপুর থানায় কর্মরত। তাঁর এই কর্মকাণ্ডের কথা জানাজানি হতেই শ্যামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আসফাকউদ্দিনের পরিবার। আর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সিভিক ভলান্টিয়ারকে সাসপেন্ড করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে আসফাকউদ্দিনের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে, দুষ্কৃতীদের হামলায় ৩৫ হাজার টাকা ও সোনার চেন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে আসফাকউদ্দিনের। এলাকার মানুষের স্পষ্ট দাবি যদি শ্যামপুর থানা ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে এবং তার দল বলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে গ্রামবাসীরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।

Leave a Comment