প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ভোটার তালিকার সংশোধন বা SIR ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি! এমতাবস্তায় একের পর এক ভুতুড়ে ভোটারের হদিশ মিলছে রাজ্যের আনাচে-কানাচে। সম্প্রতি একই এপিক নম্বর এবং একই নামের এক ভূতুরে ভোটারের সন্ধান পাওয়া গেল রাজারহাটে। এদিকে আসল ভোটার বিগত ১০ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি বলে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে এল কমিশনের বিরুদ্ধে! তুমুল শোরগোল এলাকা জুড়ে।
ঘটনাটি কী?
সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১০ বছর ধরে বনগাঁর গাইঘাটা ব্লকের সুটিয়া তেঘরিয়া এলাকার ১১৯ নম্বর বুথের পরিমল ভোট দিতে পারছেন না। প্রথমদিকে এই নিয়ে অভিযোগ করা হলে তাঁকে বলা হয়ে থাকে যে ভোটার তালিকায় নাকি তাঁর নাম নেই, কিন্তু কেন সেই তালিকায় নাম নেই বা ভোট দিতে পারেন না সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে সঠিক উত্তর মিলছে না। এবার সেই ইস্যু প্রকাশ্যে আসতেই বেরিয়ে আসল এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে বনগাঁর বাসিন্দা হয়েও তাঁর নাম উঠেছে বারাসত লোকসভার অন্তর্গত রাজারহাট নিউটাউন বিধানসভার ১০২ নম্বর বুথে। সম্প্রতি ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট খতিয়ে দেখতে উঠে আসে এই তথ্য।
স্থানান্তরের আবেদন না করেও অন্য জায়গায় নাম!
২০০২ সালের ভোটার তালিকায় পেশায় দিনমজুর পরিমল দাসের নাম খোঁজার সময় দেখা যায় তাঁর নাম একই নাম, এপিক নম্বরে অন্য ব্যক্তির ছবি আছে বারাসত লোকসভার অন্তর্গত রাজারহাট নিউটাউন বিধানসভার ১০২ নম্বর বুথে। ওই বুথের ভোটার তালিকার ক্রমিক নম্বর ৪১৩ তে নাম রয়েছে। এদিকে পরিমলবাবু দাবি করেছেন যে, তিনি কখনওই ভোটার কার্ড স্থানান্তরের আবেদন করেননি। এমনকি সেই এলাকায় তাঁর কোনও আত্মীয়ের বাড়িও নেই। এরপরে অবস্থা বুঝে তিনি গাইঘাটা থানা এবং গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে তুলকালাম পরিস্থিতি এলাকায়।
আরও পড়ুন: ২ আধিকারিককে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরাল নবান্ন! সাসপেন্ড বিতর্কে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের
উল্লেখ্য অভিযোগের খবর বিডিওর কাছে পৌঁছতেই ওই ব্যক্তিকে সব কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ভোট দাতা পরিমলবাবু দাবি করছেন যে তাঁর ভোটের ব্যবস্থা সুটিয়া তেঘড়িয়া বুথে করা হোক। তবে ১০ বছর পর এই অভিযোগ উঠে আসতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছে কেন পরিমলবাবু এত বছর পর অভিযোগ তুলছে? তার উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, একাধিকবার বিষয়টি কমিশনকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঘটনায় কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন গাইঘাটা তৃণমূল নেতা অভিজিৎ বিশ্বাস। তিনি বলেন, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে প্রশাসনের তরফে।