বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: 1893 র বিশ্বকাপে কপিল দেবের ক্যাচ হোক কিংবা 2024 সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের ক্যাচ, সবই ছিল ভারতীয় দলের জয়ের বড় কারণ। ঠিক একইভাবে গতকাল, মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে জিতিয়েছে আমনজ্যোৎ কৌরের মাত্র একটা থ্রো। হ্যাঁ, ওই এক থ্রোতেই (Amanjot Kaur Throw) স্বপ্ন ভেঙেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। যাঁরা ম্যাচ দেখেছেন তাঁরা জানবেন, আমনজ্যোৎ যদি এদিন সময়মতো এই কান্ড না ঘটাতে পারতেন, তবে হয়তো প্রথমবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যেত ভারতীয় নারীদের।
ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেছে আমনজ্যোৎ এর থ্রো
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে 299 রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ভারতীয় দল। জবাবে ব্যাট হাতে নেমেই ঝড় তুলেছিলেন প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক লরা উলভার্ট। তাঁর ব্যাটিংয়ে কাল ঘাম ছুটেছিল ভারতীয় বোলারদের। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস তখন 50 রান টপকে গিয়েছে। অধিনায়কের সাথে জুটি বেঁধে বড় পার্টনারশিপের দিকে এগোচ্ছেন ব্রিৎজ়। এমন সময়ে রেনুকা সিংয়ের বলে একটি স্লিপ খেলেন তিনি। বল চলে যায় সোজা মিড অনে দাঁড়িয়ে থাকা আমনজ্যোৎ এর হাতে। ওদিকে রান নেওয়ার জন্য দৌড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটার। ঠিক তখনই বল হাতে তুলে নিয়ে সরাসরি উইকেট তাক করে ছোড়েন কৌর। তাতেই আসে প্রথম সাফল্য। ব্রিৎজ় আউট হওয়ায় প্রথম ধাক্কাটা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের দাবি, ম্যাচের দশম ওভার চলাকালীন আমনজ্যোৎ এর ওই লম্বা থ্রোতে ব্রিৎজ় আউট হতেই আত্মবিশ্বাস ভেঙেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের। বলা ভাল, প্রথম উইকেটেই একপ্রকার ম্যাচ হেরে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পরবর্তীতে, ভারতের মেয়েদের বোলিং আক্রমণের সামনে রুখে দাঁড়িয়ে লরা সেঞ্চুরি হাঁকালেও ক্রমাগত উইকেট হারিয়ে একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়ে প্রতিপক্ষ। তাতেই 52 রানে জয় খুঁজে নেয় ভারত।
অবশ্যই পড়ুন: বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ভারতের মেয়েরা, পুরস্কার বাবদ কত টাকা পাবে হরমনপ্রীতের দল?
উল্লেখ্য, ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের লড়াকু নারীদের প্রথমবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গল্পটা চিরকাল যে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এ কথা বলতেই হয়, রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে বধ করতে একেবারে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে লড়াই করেছিলেন হরমনপ্রীতরা। না বললেই নয়, এদিন ফিল্ডিং থেকে শুরু করে দুর্দান্ত বোলিং এবং শেফালী বর্মাদের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের হাত ধরেই সাফল্য পেয়েছে উইমেন ইন ব্লু।