প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গতকাল অর্থাৎ সোমবার মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই বৈঠকের রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক বৈঠকের বিজ্ঞপ্তি জারি করল মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। এক সপ্তাহের মধ্যেই ফের মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে আগামী ১৮ আগস্ট বিকেল চারটায় নবান্নে বসবে মন্ত্রিসভার এই বৈঠক। কিন্তু এই বৈঠকের মূল বিষয় কী হতে চলেছে এই নিয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয়নি।
নয়া বিজ্ঞপ্তি মুখ্যসচিবের
আনন্দবাজারের রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালেই মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকের নির্ঘণ্ট জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন। যেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৮ আগস্ট বিকেল চারটেয় নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে ওইদিনই নাকি মন্ত্রিসভার বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী সহ তাঁর মন্ত্রিসভা। সাধারণত মন্ত্রিসভার বৈঠকের মধ্যে ১০ থেকে ১৪ দিনের ব্যবধান থাকে, তবে গতকালের বৈঠকের মাত্র সাত দিন পরেই পরবর্তী বৈঠক ডাকায় রাজনৈতিক মহলে বেশ জল্পনা বাড়ছে।
বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে জল্পনা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নবান্নের এই পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠক নিয়ে নানা দিকে যখন তীব্র আলোচনা চলছে তখন নবান্নের বিশেষ সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে , তড়িঘড়ি এক সপ্তাহের মধ্যে বৈঠক ডাকার পেছনে অন্যতম কারণ হল ভোটার তালিকা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সংঘাত। সেই নিয়েই একাধিক পদক্ষেপ এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে চলেছে। শুধু তাই নয়, বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর হেনস্থা, বাংলাভাষী ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সৃষ্ট আক্রমণের অভিযোগসহ রাজনৈতিক ইস্যুগুলো নিয়েও মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে আগামী সোমবার, মন্ত্রিসভার বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান প্রকল্পে মন্ত্রীদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলেন মমতা!
প্রসঙ্গত, গতকাল অর্থাৎ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘার জগন্নাথ ধামের পর ‘দুর্গা অঙ্গন’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত সরকারি সিলমোহর দিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, পর্যটন দফতর এবং হিডকো যৌথ ভাবে ‘দুর্গা অঙ্গন’ তৈরি করবে। ইতিমধ্যে নির্মাণের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করা হবে বলে ঘোষণা করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তবে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি যে কোথায় এই মন্দির তৈরি হবে বা মন্দির নির্মাণের বাজেট কত হবে। তবে আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। এছাড়াও এদিন বৈঠকে কলকাতায় ছোট জমিতে বাড়ি তৈরির নীতি ও শালবনীতে জোড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র অনুমোদনের মতো একাধিক বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।