‘এক হলেই হবে হিন্দুরাষ্ট্র!’ ব্রিগেডের গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে কী বললেন ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ শাস্ত্রী?

Brigade Gita Paath

সৌভিক মুখার্জী, ব্রিগেড: শহর কলকাতা আজ সাক্ষী থাকল ঐতিহাসিক গীতাপাঠ সমাগমের (Brigade Gita Paath)। হ্যাঁ, ব্রিগেডে আজ পাঁচ লক্ষ কন্ঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই গীতাপাঠ। একদিকে রাজ্যে বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি, ঠিক সেখানেই গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে হিন্দু রাষ্ট্রের পক্ষে সওয়াল করলেন বাগেশ্বর ধামের ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ শাস্ত্রী। কী বললেন তিনি আজকের এই অনুষ্ঠানে?

গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ শাস্ত্রী

এদিন অনুষ্ঠানে ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ শাস্ত্রী বলেছেন, প্রদেশ যখন এক হয়, ঠিক তখনই দেশ তৈরি হয়। তাই বাংলার হিন্দুদের উদ্দেশ্যে আমার একটাই বার্তা, আপনারা যখন এক হবেন তখনই এই ভারত হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এদিকে বাবরি মসজিদ নিয়ে তিনি বলেছেন, যারা একসময় ভারতে আক্রমণ চালিয়েছিল, তাদের নামেই তৈরি করা হচ্ছে বাবরি মসজিদ। এমন নামাঙ্কিত কোনও কিছু কি দেশে তৈরি করা উচিৎ? আমাদের মাথায় রাখতে হবে, এটা বাবরের দেশ নয়, বরং রঘুবরের দেশ।

প্রসঙ্গত, আজকের অনুষ্ঠানে গীতার প্রথম, নবম এবং অষ্টাদশ অধ্যায় পাঠ করা হয়েছে। আর এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের বহু প্রান্ত থেকে ভক্ত সমাগম হয়েছিল। পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা থেকেও প্রচুর ভক্ত এসেছিল। সবথেকে বড় ব্যাপার, বাংলাদেশ এবং নেপাল থেকেও হিন্দু ভক্তরা যোগদান করেছিল আজকের এই গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে। উল্লেখ্য, গীতাপাঠ শুরুর আগেই ব্রিগেডে বেদপাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

সূত্রের খবর, রবিবার দুপুরে ব্রিগেড প্যারাড অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বেলডাঙ্গা রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান মহারাজ প্রদীপ্তানন্দ বা কার্তিক মহারাজ। বলাবাহুল্য, আগেরবার অর্থাৎ ২০২৩ সালের লোকসভা ভোটের আগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল গীতাপাঠ। তবে এবারের অনুষ্ঠানে রামদেব আমন্ত্রিত থাকলেও তাঁকে দেখা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমন্ত্রণ গেলেও তিনি কোনও সদুত্তর দেননি বলে রিপোর্ট অনুযায়ী খবর।

আরও পড়ুন: জিরো ব্যালেন্সের অ্যাকাউন্টে মিলবে ডবল সুবিধা, নতুন নিয়ম চালু RBI-র

এদিকে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি শমিক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা আজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সুকান্ত বলেছেন, আমরা গতকাল যা দেখেছি তাতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, হিন্দু ভোটকে ভাগ করার ও মুসলিম ভোটকে এক করার চক্রান্ত চলছে। তার জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, হিন্দু সমাজ সংগঠিত না থাকার ফলে এরকম বাংলা বিভাজন। আজও লক্ষ লক্ষ মানুষ দাসের মতোই জীবন কাটাচ্ছে। বাংলাদেশে আমাদের ভাইদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। মন্দির ভাঙা হচ্ছে। এমনকি মা-বোনদের লুট করা হচ্ছে। আর এই গীতাপাঠ সেই ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করবে। সবথেকে বড় ব্যাপার, আজ মঞ্চে না বসে মাটিতেই বসে গীতাপাঠ করতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে।

Leave a Comment