বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: গত রবিবার ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারের পর ডুরান্ড কাপ থেকে বিদায় নিয়েই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোহনবাগান। সবুজ মেরুন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জাতীয় শিবিরে এখনই কোনও ফুটবলার পাঠাবে না তারা।
মূলত ফেডারেশনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ শানিয়ে জাতীয় দলের জন্য ফুটবলার ছাড়তে নারাজ বাগান ম্যানেজমেন্ট। ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল জয়ের পর সেমিতে উঠেও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরেক ময়দান প্রধান ইস্টবেঙ্গলও। তাদের যুক্তিও বেশ শক্তপোক্ত।
কী কারণে জাতীয় দলের জন্য ফুটবলার ছাড়তে চাইছে না ইস্ট, মোহন?
জাতীয় দলের জন্য ফুটবলার ছাড়তে রাজি নয় মোহনবাগান। যুক্তি হিসেবে তাদের দাবি, ফিফা উইন্ডো ছাড়া জাতীয় দলের ফুটবলারদের ছেড়ে দিতে বাধ্য নয় তারা। এরপরই ফেডারেশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বাগান ম্যানেজমেন্ট জানায়, এর আগে বহুবার ফুটবলারদের চোট নিয়ে অবহেলা এবং যোগাযোগের অভাবের জন্য ফেডারেশনকে কাঠগড়ায় তুলেছিল তারা।
ফেডারেশনের খাপছাড়া মনোভাবের বিষয়টা প্রকাশ্যে আনার পাশাপাশি মোহনবাগান বলে, সামনে AFC চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু এর খেলা। তাই সেই প্রতিযোগিতার কথা মাথায় রেখে এখনই জাতীয় দলের জন্য ফুটবলারদের ছাড়বে না সবুজ মেরুন।
খানিকটা বাগানের সুরেই ইস্টবেঙ্গল দাবি করে, তাদের কাছেও ডুরান্ড কাপ যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে। সেমিফাইনালে ওঠার পর দায়িত্বটা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তাই ফুটবলারদের এখনই জাতীয় শিবিরের জন্য ছাড়তে নারাজ তারা।
ফেডারেশনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এক বাগান কর্তার
সম্প্রতি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাগান কর্তা একেবারে সরাসরি ফেডারেশনকে নিশানা করে বলেন, গত ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন শুভাশিস বসু। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত চোট যন্ত্রণার কারণে মাঠে ফিরতে পারেননি তিনি। এদিকে ফেডারেশনের তরফে একবারও তাঁর সাথে যোগাযোগ করা হয়নি, সে কেমন আছে সেটুকুও খোঁজ নেয়নি AIFF।
এদিন ওই বাগান কর্তা আরও বলেন, আমরা কিন্তু শুভাশিসের বেতন দিচ্ছি। কিন্তু দেখুন, ওর চোট রয়েছে তা জানা সত্বেও ফেডারেশন কোনও যোগাযোগ করেনি। এর আগেও যতবার ফুটবলাররা জাতীয় শিবিরে গিয়েছেন চোট নিয়েই ফিরে এসেছেন। তবে ফেডারেশনের তরফে কিন্তু প্লেয়ারদের কোনও খোঁজখবর নেওয়া হয়নি।
অবশ্যই পড়ুন: ISL নিয়ে মিলতে পারে সুখবর! ২২ আগষ্ট শুনানি সুপ্রিম কোর্টে
উল্লেখ্য, মোহনবাগান থেকে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন অনিরুদ্ধ থাপা, দীপক টাংরি, লিস্টন কোলাসো, মননীর সিং, আপুইয়া, সাহাল আব্দুল সামাদ, এবং গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। এদিকে অনূর্ধ্ব-23 এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ডাক পেয়েছেন দীপেন্দু বিশ্বাস, সুহেল ভাট, প্রিয়াংশু দুবে এবং অভিষেক সিং। তবে তাদের কাউকেই ছাড়তে নারাজ সবুজ মেরুন। একইভাবে আনোয়ার আলি, জিকসন সিং ও নওরেম মহেশ সিংকেও জাতীয় শিবিরের জন্য ছাড়ছেনা ইস্টবেঙ্গল।