বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: এতদিন আমেরিকা দাবি করে এসেছে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ (India Pakistan Conflict) থামিয়েছে তারা। এবার সেই তালিকায় ঢুকে পড়ল চিনও। এশিয়ার দুই যুযুধানের যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করার দাবি জানালো চিনের বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ই। এবার সেই দাবিই উড়িয়ে দিল নয়া দিল্লি। আমেরিকার পর এবার ড্রাগনের দেশের তরফে আসা ভারত-পাক সংঘাত থামাতে ফলানো চিনের কর্তৃত্ব নস্যাৎ করল ভারত। নয়া দিল্লি স্পষ্ট জানিয়েছে, সংঘর্ষবিরতিতে কোনও তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা নেই। দুই দেশের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনসের মধ্যে সরাসরি আলোচনার ভিত্তিতেই স্থগিত হয় সংঘাত।
চিনের দাবি খারিজ করে ঠিক কী জানালো ভারত?
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করার দাবি জানায় চিন। এবার সেই দাবিকে উদ্ধৃত করেই ভারতের তরফে স্পষ্ট জানানো হল, “এই ধরনের দাবি খারিজ করা হচ্ছে। ভারত এবং পাকিস্তানের দিপাক্ষিক বিষয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের যোগ নেই। অতীতেও একাধিকবার আমরা আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। ভারত এবং পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনসের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতেই এই সংঘর্ষবিরতি সম্ভাব হয়েছে।”
অবশ্যই পড়ুন: ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ে ৩% ছাড়ের ঘোষণা রেলের
বলাই বাহুল্য, বিগত দিনগুলিতে বহুবার বিশ্বের নানা দেশে গিয়ে ভাষণ দেওয়ার সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একেবারে স্পষ্ট দাবি করেছিলেন, তাঁর মধ্যস্থতাতেই ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষ থেমেছে। এশিয়ার দুই দেশের মধ্যেকার সংঘাত নিয়ে নিজের কর্তৃত্ব ফলাতে গিয়ে বেশ কয়েকবার হাসির খোরাক হয়েছিলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, ভারত-পাক সংঘর্ষ থামানোর দাবি জানিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও ভারতের তরফে সেবারও স্পষ্ট করে বলা হয়, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যেকার সংঘাতে কোনও দ্বিতীয় পক্ষের ভূমিকা নেই।
অবশ্যই পড়ুন: নিউজিল্যান্ড সিরিজে শ্রেয়স আইয়ারের বদলি হতে পারেন টিম ইন্ডিয়ার এই স্টার প্লেয়ার
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেইজিংয়ের আন্তর্জাতিক নীতি সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যেকার যুদ্ধবিরতি নিয়ে নিজেদের কর্তৃত্ব দাবি করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, “এবছর ঘনঘন সীমান্ত সংঘর্ষ বা স্থানীয় যুদ্ধ দেখা গিয়েছে, যা এর আগে এভাবে দেখা যায়নি। চিন সর্বদা নিরপেক্ষ এবং ন্যায় সংযত অবস্থানে থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করে গেছে।”