সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: কয়েক মাস আগেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল। 7 থেকে 10 মে যুদ্ধের আবহে পাকিস্তান একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। হ্যাঁ, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছিল না তারা। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পাকিস্তানের সামনে নতুন আশঙ্কা ভারতের অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল অগ্নি-5 এর নয়া সংস্করণ (Agni V Missile)।
জানা গিয়েছে, এবার শুধুমাত্র পারমাণবিক অস্ত্র নয়, বরং ভারত তৈরি করছে এমন এক মারাত্মক কনভেনশনাল মিসাইল, যা কিনা মাটির 80 থেকে 100 মিটার নীচে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারবে। আর ঠিক এখানেই চমকে উঠছে পাকিস্তান।
আসছে অগ্নি-5-এর নয়া সংস্করণ
সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা DRDO বর্তমানে অগ্নি-5 মিসাইলকে নতুনভাবে ডিজাইন করছে। জানা গিয়েছে, এবার পারমাণবিক বোমার বদলে যুক্ত হবে প্রায় 7500 কেজি কনভেনশনাল ওয়ারহেড, যা কিনা সরাসরি মাটির নীচে গিয়ে নিশানায় আঘাত করবে।
আসলে এই প্রযুক্তি অনেকটাই আমেরিকার GBU-57 Massive Ordnance Penetrator বা বাঙ্কার বাস্টার বোমার মতো করেই তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে ভারত ভবিষ্যতে কোনোরকম আগাম সর্তকতা ছাড়াই পাকিস্তান বা চিনের গোপন কমান্ড সেন্টার, মিসাইল ঘাঁটি কিংবা পারমাণবিক বাঙ্কারগুলিতে আঘাত হানতে পারবে।
Agni-V Bunker Buster Variant will be India’s GBU-57 on Steroids . More information soon pic.twitter.com/A3ehlupOZZ
— idrw (@idrwalerts) June 29, 2025
আর এই তথ্য সামনে আসতেই পাকিস্তানে ছড়িয়ে পড়েছে চরম চাঞ্চল্য। বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ বলছে, এখন আর কোনো কিছুই সুরক্ষিত নয়। আমাদের সেনা ঘাঁটি, ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার সবকিছুই বিপদের মুখে। এমনকি কেউ কেউ বলছে, যদি ভারত অগ্নি-5 দিয়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা করে, তাহলে তা ভারতের No First Use নীতির লঙ্ঘন করা হবে।
ভারতের চিন্তাভাবনা কী?
যদিও ভারতের তরফ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে পাকিস্তানের বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, বিনা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করেও পারমাণবিক যুদ্ধ শুরুর মতো ভয়াবহ কৌশল তৈরি করছে ভারত। তাই ভারতের নতুন মিসাইল যদি পাকিস্তানে সরাসরি আঘাত হানে, তাহলে No First Use নীতির আওতায় তার চরম ভুল হিসেবেই মানা হবে।
আরও পড়ুনঃ বদলে গেল ফ্লাইটে লাগেজের নিয়ম! না জানলেই হবে মোটা অঙ্কের ফাইন
এদিকে বেশ কিছু পাক বিশেষজ্ঞ মনে করছে, এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে গেলে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকা যেভাবে পারমাণবিক নিরাপত্তা জোরদার করেছে এবং চিন যেভাবে প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে এগিয়েছে, পাকিস্তানেরও সেই পথ অনুসরণ করা উচিত।