সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ফের পাকিস্তানের আধা সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে সন্ত্রাসী হামলা (Pakistan Terrorist Attack)। আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের জখম হল তিনজন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্র অনুযায়ী খবর, সোমবার সকালে পাকিস্তানের পেশোয়ারে আধা সামরিক দপ্তরে হামলা চালিয়েছে দুই হামলাকারী। এমনকি বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। এর জেরে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।
পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা
রিপোর্ট অনুযায়ী খবর, সোমবার সকালে পেশোয়ারের সদর এলাকায় ফ্রন্টিয়ার কনস্ট্যাবুলারি সদর দপ্তরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা এই হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি নিরাপত্তা বাহিনীরাও দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, সকাল আটটার দিকে দু’টি শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়। তারপর চলে তীব্র গুলিবর্ষণ। বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে আশেপাশের ভবনগুলোর জানলা পর্যন্ত ভেঙে যায়। পাশাপাশি পুলিশ এবং এফসি কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে গুলি বিনিময় শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য যান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল জুলফিকার হামিদ জানিয়েছেন যে, হামলাকারীরা আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল উচ্চ নিরাপত্তার স্থাপনাটি ভেঙে ফেলার। বলাবাহুল্য, সম্প্রতি এলাকাটি আরও শক্তিশালী করার জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা ইউনিট যুক্ত করা হয়েছে, আর শহর জুড়ে জরুরী প্রটোকলও সক্রিয় করা হয়েছিল। এদিকে ওই দপ্তরের কাছাকাছি বসবাসকারী বাসিন্দারা বলছেন যে, একাধিক বিস্ফোরণ এবং প্রচন্ড গুলির শব্দ কানে আসে। যার ফলে গোটা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ নিশ্চিত করেছেন যে কমপক্ষে দু’টি বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে নিরাপত্তা অভিযান অব্যাহত থাকার কারণে হতাহতের রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে এতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভারতের অংশ হতে পারে সিন্ধ প্রদেশ! রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্যে জল্পনা
উল্লেখ্য, এই অস্থিরতার মূল কারণ বেলুচিস্তানে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলির পুনরুত্থান আর হামলা। ২০২৪ সাল জুড়ে এই প্রদেশটি ধারাবাহিকভাবে সহিংসতার সাক্ষী হচ্ছে। এমনকি এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৮২ জন নিহত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য হামলাগুলির মধ্যে রয়েছে ৩ সেপ্টেম্বর কোয়েটায় রাজনৈতিক সমাবেশে আত্মঘাতী হামলা। তাতে ১১ জন নিহত হয়েছিল এবং ৪০ জনের বেশি আহত হয়। পাশাপাশি মার্চ মাসে বেলুচ লিবারেশন আর্মি দ্বারা ট্রেন ছিনতাই, যার ফলেও সৈন্যরা নিহত হয়।