বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আজ এশিয়া কাপের দ্বিতীয় দিন। সন্ধ্যায় মুখোমুখি হবে ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। আর তার আগেই কলা নিয়ে কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে এবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে নোটিস ধরালো নৈনিতাল হাইকোর্ট (High Court Noticed BCCI)। অভিযোগ, কলা কেনার নামে কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে আগামী শুক্রবার।
কীভাবে এই কেলেঙ্কারিতে জুড়ল BCCI এর নাম?
জাগরনের রিপোর্ট অনুযায়ী, আসলে কলা নিয়ে কোটি টাকার কেলেঙ্কারির ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখন্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে। জানা যাচ্ছে, সে রাজ্যের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন 35 লাখের কলা কেলেঙ্কারি সহ 12 কোটি টাকার কেলেঙ্কারির দায়ে অভিযুক্ত। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, দেরাদুনের বাসিন্দা সঞ্জয় রাওয়াত কোটি টাকার কেলেঙ্কারির ঘটনায় হাইকোর্টে আবেদন জানান। এরপরই নৈনিতাল হাইকোর্ট কোটি টাকার ওই কেলেঙ্কারির ঘটনায় কঠোর অবস্থান গ্রহণের পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে নোটিস পাঠিয়েছে।
সঞ্জয় রাওয়াত নামক ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেছিলেন, উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন নিয়ম মেনে কাজ করছে না। তারা তহবিলের অপব্যবহার করছে। রাওয়াতের মতে, এই অ্যাসোসিয়েশন খেলোয়াড়দের উন্নয়ন এবং ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের নাম করে তহবিলের অপব্যবহার করেছে। এদিকে ক্রিকেটাররা কোনও রকম সুবিধা পাননি।
অবশ্যই পড়ুন: এশিয়া কাপে ভারত-পাক ম্যাচের আগেই অবসর ঘোষণা পাকিস্তানের ফাস্ট বোলারের
হাইকোর্টে দায়ের করা পিটিশানে সঞ্জয় দাবি করেন, উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন নিজেদের চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এর বদলে বাইরের একজন CA-কে দিয়ে তাদের তহবিল অডিট করিয়েছে, যাতে অনিয়ম এড়ানো যায়। এমন ঘটনায় রাওয়াত সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার নৈনিতাল হাইকোর্টের বিচারপতি মনোজ কুমার তিওয়ারির বেঞ্চ পুরো বিষয়টি শোনার পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে জবাবদিহির জন্য চিঠি দিয়ে সময় বেঁধে দিয়েছে।
কিন্তু এর সাথে কলার কী সম্পর্ক? আসলে, উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আর্থিক তছরূপের ঘটনায় আবেদনকারীর CAU এর অডিট রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, খেলোয়াড়দের নাকি 35 লক্ষ টাকার কলা খাওয়ানো হয়েছিল। এদিকে প্লেয়ারদের খাবার এবং শিবিরের খরচ বাবদ 12 কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। অথচ মাঠের পরিচর্যা থেকে শুরু করে ম্যাচ আয়োজনের জন্য কোনও অতিরিক্ত অর্থ খরচ হয়নি। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, উত্তরাখন্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন হয়তো প্লেয়ারদের উপর অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে বাকি অর্থ আত্মসাৎ করেছে! মনে করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ যদি সত্যি প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে ভিন রাজ্যের ওই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।