কন্যা সন্তানের জন্মে ৫০,০০০ টাকা দেবে রাজ্য সরকার, রাজশ্রী প্রকল্প আবেদন কীভাবে?

Mukhyamantri Rajshri Yojana

সহেলি মিত্র, কলকাতা: দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে কন্যাভ্রূণ হত্যার ঘটনা বেশি দেখা যায়। রাজস্থান এই রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম। ভারত সরকার এবং বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার মেয়েদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং লিঙ্গ অনুপাত হ্রাস করার জন্য সরকারি প্রকল্প পরিচালনা করছে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে রাজস্থান সরকারের মুখ্যমন্ত্রী রাজশ্রী যোজনা (Mukhyamantri Rajshri Yojana), যা কন্যা সন্তানের জন্মের পর পরিবারগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। মেয়েদের স্কুলে পড়াশোনা শেষ করার জন্য আর্থিক সুবিধাও দেওয়া হয়। চলুন আর দেরি না করে সি স্কিম সম্পর্কে বিশদে জেনে নেওয়া যাক।

মুখ্যমন্ত্রী রাজশ্রী যোজনা কী?

রাজস্থান সরকার ১ জুন, ২০১৬ সালে কন্যা শিশুদের জন্মের পর তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী রাজশ্রী যোজনা চালু করে। এর প্রাথমিক লক্ষ্য হল কন্যা ভ্রূণহত্যা রোধ করা। এই স্কিমটি জন্মের পর থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মোট ৫০,০০০ টাকা সুবিধা প্রদান করে। এই সুবিধা ছয়টি কিস্তিতে মেয়েদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী রাজশ্রী প্রকল্পের জন্য যোগ্যতা কী?

এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র রাজস্থানের স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য প্রযোজ্য। শুধুমাত্র ১ জুন, ২০১৬ এর পরে জন্মগ্রহণকারী মেয়েরা এই সুবিধা পাবে। এই প্রকল্পের সুবিধাগুলি কেবল তখনই পাওয়া যাবে যদি মেয়েটি কোনও নিবন্ধিত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে জন্মগ্রহণ করে থাকে।

কী কী নথি লাগবে?

জন্ম শংসাপত্র
আধার কার্ড বা ভামাশাহ কার্ড
মা-শিশু স্বাস্থ্য কার্ড
স্কুলে ভর্তির শংসাপত্র

মুখ্যমন্ত্রী রাজশ্রী যোজনার আওতায় সুবিধার পরিমাণ

মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় প্রকল্পের আওতায় ছয়টি কিস্তিতে সুবিধা প্রদান করা হয়।

প্রথম কিস্তি: একটি কন্যা সন্তানের জন্মের সময় ২,৫০০ টাকা দেওয়া হয়, যদি প্রসবটি সরকারি বা বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে হয়।

দ্বিতীয় কিস্তি: মেয়ে শিশু এক বছর বয়স পূর্ণ করলে এবং প্রয়োজনীয় সকল টিকা গ্রহণ করলে ২,৫০০ টাকা দেওয়া হয়।

তৃতীয় কিস্তি: সরকারি স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য ৪,০০০ টাকা দেওয়া হয়।

চতুর্থ কিস্তি: ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য ৫,০০০ টাকা দেওয়া হবে।

পঞ্চম কিস্তি: দশম শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে ১১,০০০ টাকার সুবিধা পাওয়া যাবে।

ষষ্ঠ কিস্তি: সবচেয়ে বড় কিস্তি, অর্থাৎ, দ্বাদশ শ্রেণী সফলভাবে পাস করার পর ২৫,০০০ টাকা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ গুঁড়িয়ে গেল চিনের একচেটিয়া আধিপত্য! চাল উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম ভারত

আবেদন করার পদ্ধতি

এই প্রকল্পের জন্য আবেদন অনলাইন পোর্টাল অথবা মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের মাধ্যমে করা যেতে পারে।

Leave a Comment