কবে হবে SSC নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের ভেরিফিকেশন? প্রকাশ্যে নতুন দিনক্ষণ

SSC Verification

সহেলি মিত্র, কলকাতা: নবম ও দশম শ্রেণীর SSC নিয়োগ সংক্রান্ত বড় তথ্য সামনে এল। চলতি ডিসেম্বর মাসেই হবে সব ভেরিফিকেশন বলে খবর। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। এর আগে ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল নবম-দশমের তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া। কিন্তু সে সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে। এর কারণ হিসেবে জানা গিয়েছিক, কমিশনের ওয়েবসাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলবে ওই সময়। সে জন্য তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না। তবে অবশেষে এই বিষয়ে জট খুলল বলে মনে হচ্ছে। সামনে এল নয়া তারিখ।

কবে হবে এসএসসি নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের ভেরিফিকেশন?

সূত্রের খবর, ২০২৬ সাল শুরু হওয়ার আগেই নবম-দশমের তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে এসএসসি। ফলে অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন হবু শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অপরদিকে চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের জন্য সুপ্রিম কোর্ট স্বস্তির বার্তা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন)ও স্বস্তির বার্তা দিয়েছে। ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা ৩১ আগস্ট, ২০২৬ পর্যন্ত বেতনসহ তাদের চাকরি চালিয়ে যেতে পারবেন। নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে শিক্ষক নিয়োগের সময়সীমাও বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫-এর আগের সময়সীমার পরিবর্তে ৩১ আগস্ট, ২০২৬-এর মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। যার অর্থ সময়সীমা আট মাস বাড়ানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তিতে চাকরিহারা শিক্ষকরা

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করার পর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়াটি এই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশন সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করেছে। পরীক্ষার ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। নবম-দশম শ্রেণীর নথি যাচাই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা রয়েছে, তারপরে হবে সাক্ষাৎকার। ইতিমধ্যে, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর মেধা তালিকা জানুয়ারিতে প্রকাশিত হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ ‘ইউনূসই খুন করিয়েছে, ওকেও দেশ ছাড়তে হবে!’ অন্তর্বর্তী সরকারকে তুলোধোনা হাদির ভাইয়ের

তবে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী আদেশ অনুসারে, চাকরি হারানো যোগ্য শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। জানুয়ারি থেকে যদি তারা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন, তাহলে বিভিন্ন সরকারি স্কুলে পাঠদান প্রক্রিয়া কার্যত ভেঙে পড়বে। এই আশঙ্কায়, শিক্ষা বিভাগ তাদের চাকরির মেয়াদ আট মাস বৃদ্ধি এবং নিয়োগের সময়সীমা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট আবেদনটি গ্রহণ করে এবং সময়সীমা আট মাস বৃদ্ধি করে। আদালত আরও জানিয়েছে যে চাকরি হারা যোগ্য শিক্ষকরা তাদের বিদ্যমান বেতন দিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।

Leave a Comment