সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আপনিও কি ওজন কমাতে চাইছেন? তাহলে আপনার জন্য বিরাট সুখবর। কারণ, বহু প্রতীক্ষার পর ভারতের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ হয়েছে ওজেম্পিক। ডেনমার্কের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি নরডিস্ক তাদের এই আধুনিক ডায়াবেটিস ওষুধ (Diabetes Drug Ozempic) ভারতের বাজারে তিনটি ডোজে আনল। তা হল 0.25 মিলিগ্রাম, 0.5 মিলিগ্রাম এবং 1 মিলিগ্রাম। জানা গেল, 2017 সাল থেকেই আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই টাইপ-2 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এবার ভারতীয় রোগীরাও পেতে চলেছে সেই সুবিধা। তবে দাম কত পড়বে?
ওজেম্পিক ওষুধের দামের তালিকা
কোম্পানির ঘোষিত দামের ভিত্তিতে ওজেম্পিকের ভারতের বাজারে দাম দাঁড়াচ্ছে 0.25 মিলিগ্রাম প্রতি সপ্তাহে 2200 টাকা, 0.5 মিলিগ্রাম প্রতি মাসে 10,170 টাকা এবং 1 মিলিগ্রাম প্রতি মাসে 11,175 টাকা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এই ইনজেকশনের ব্যবহার প্রতি সপ্তায় একবার করলেই হবে। তাই খরচও সাপ্তাহিক ভিত্তিতে হিসাবে করা হচ্ছে।
2024 সালের অক্টোবর মাসে সেন্ট্রাল ড্রাগস এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই ওষুধটি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল। আর এটি মূলত টাইপ-2 ডায়াবেটিস আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই। রিপোর্ট অনুযায়ী, ওষুধটি খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের সঙ্গে মিলিয়ে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করবে। আর বিশেষ করে টাইপ-2 ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদরোগজনিত জটিলতা ঝুঁকি অনেকটাই কমায়।
ওজেম্পিক কি সত্যিই ওজন কমাবে?
বলাবাহুল্য, অনেক দেশেই ওজেম্পিককে ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে আদৌ কি ওজন কমে? জানা যাচ্ছে, ওষুধটি শরীরে GLP-1 হরমোনের মতো কাজ করে, যা রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে ইনসুলিন নিঃসরণকে বাড়ায়, আর পেট খালি হওয়ার প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়। পাশাপাশি খিদে কমিয়ে দীর্ঘ সময় পেট ভরার অনুভূতি দেয়। এই তিনটি প্রভাব মিললেই অনেক রোগীর ওজন কমতে পারে।
আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে একশ দিনের কাজের প্রকল্পের নাম! বড় সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্র সরকার
তবে হ্যাঁ, ওজেম্পিক ব্যবহারে কিছুটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। যেমন বমি বমি ভাব হতে পারে। এমনকি ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে। পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পিত্তথলির সমস্যা বা অগ্নাশয়ের প্রদাহ বাড়তে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মোটেও এই ওষুধ গ্রহণ করবেন না।