সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সস্তা হতে চলেছে হোম লোন থেকে কার লোন। হ্যাঁ, বিরাট সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক। আসলে গত সপ্তাহে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর সেই সিদ্ধান্তে সুদের হার সর্বোচ্চ ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে দেশের সবথেকে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক (SBI Interest Rate Cut)। এতে নতুন এবং পুরনো দুই ধরনের ঋণগ্রহীতারা স্বস্তি পাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কতটা কমল সুদের হার?
স্টেট ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এক্সটার্নাল বেঞ্চমার্ক লিংকড লেন্ডিং রেট এবার ৮.১৫% থেকে কমে ৭.৯০% দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানো হয়েছে। অন্যদিকে মার্জিনাল কস্ট অফ ফান্ডস বেসড লেন্ডিং রেট বা এমসিএলআর রেট ৫ বেসিস পয়েন্ট কমানো হয়েছে। আর এক বছরের মেয়াদী এমসিএলআর রেট কমে দাঁড়িয়েছে এবার ৮.৭৫%। পাশাপাশি বেস রেট কমানো হয়েছে ১০ বেসিস পয়েন্ট এবং এখন দাঁড়িয়েছে তা ৯.৯০%। এমনকি ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই নতুন হার কার্যকর হচ্ছে ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ থেকেই।
কমবে ইএমআই
সুদের হার কমার ফলে হোম লোন থেকে শুরু করে গাড়ির লোন বা ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে মাসিক ইএমআই অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর এতে সাধারণ গ্রাহকরা স্বস্তি পাবে। একই সূত্রে এমএসএমই এবং কর্পোরেট গ্রাহকদের জন্য ঋণের হার অনেকটাই কমবে। যার ফলে ব্যবসার মূলধন ব্যয় হ্রাস পাবে এবং আমজনতা এতে লাভের মুখ দেখবে।
বলাবাহুল্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গত ৫ ডিসেম্বর ৫.২৫%-এ রেপো রেট নামিয়ে এনেছিল। আর এটি ছিল এই বছরের চতুর্থবারের মতো সংশোধন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রার কথায়, চ্যালেঞ্জের বাইরে পরিস্থিতির জন্য ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল। মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতি আমাদের সুদ কমানোর সুযোগ করে দিয়েছে। তাই রেপা রেট কমানো হয়েছে।
ফিক্সড ডিপোজিটে সংশোধন
এদিকে এসবিআই-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দুই থেকে তিন বছরের মেয়াদী ফিক্সড ডিপোজিটে ৬.৬০% থেকে ৬.৪০% করা হয়েছে সুদের হার, যা ২০ বেসিস পয়েন্ট কম। অন্যদিকে ৪৪৪ দিনের এফডি-তে ৬.৭% থেকে কমিয়ে ৬.৪৫% সুদের হার করা হয়েছে, যা ১৫ বেসিস পয়েন্ট কম।
আরও পড়ুন: রেকর্ড দাম ছুঁল সোনা, রুপো! আজকের রেট
স্বস্তি পাবে আমজনতা
সুদের হার কমানোর ফলে নতুন ঋণগ্রহীতাদের কাছে ঋণ নেওয়া যে আরও সস্তা হবে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি পুরনো ঋণগ্রহীতাদের মাসিক ইএমআই অনেকটাই কমবে। এমনকি কর্পোরেট সেক্টরে ঋণের ব্যয় কমে অর্থনৈতিক কাঠামোতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। পাশাপাশি ভারতের অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে।