করতে হবে আত্মসমর্পণ! নিয়োগ কাণ্ডে মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে চার্জশিটে অনুমোদন রাজ্যপালের

Chandranath Sinha

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: অবশেষে মিলল রাজ্যপালের অনুমোদন! প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিটে সবুজ সংকেত দিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ অর্থাৎ বুধবার আদালতে এমনই তথ্য জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED। রাজ্যপালের অনুমোদন পাওয়ার পরই এবার কারামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতের তরফে দেওয়া হল কড়া নির্দেশ। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যের কারা এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহকে তলবের সমন পাঠানোর নির্দেশ।

থমকে গিয়েছিল বিচারপ্রক্রিয়া

দ্য ওয়ালের রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে কলকাতার বিশেষ সিবিআই আদালতে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED। কিন্তু রাজভবন থেকে রাজ্যপালের চার্জশিটের অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি হাতে না-পাওয়ায় থমকে গিয়েছিল বিচারপ্রক্রিয়া। সেই সময় বাধ্য হয়ে আদালতে ED দাবি করেছিল যে, রাজ্যপালের অনুমোদন না মেলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হচ্ছে না। তবে এবার সেই সংকট কাটল, অবশেষে আজ অর্থাৎ বুধবার দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাজভবন থেকে অনুমোদন মিলল।

অবশেষে মিলল রাজ্যপালের অনুমোদন

আদালতে আজ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED আদালতে জানিয়েছে যে রাজ্যপাল আনন্দ বোস কারামন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দিয়েছেন। আর সেই অনুমোদনের ভিত্তিতে চন্দ্রনাথ সিনহার নামে ১৫ দিনের মধ্যে সমন জারির নির্দেশ দিল ED-র বিশেষ আদালত। নির্দেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কারামন্ত্রীকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বা কালীঘাটের কাকু সহ একাধিকজনকে। তাঁরাও বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। তাঁদেরও চার্জশিটের কপি শীঘ্রই পাঠানো হয় চলেছে।

আরও পড়ুন: সরকারকে ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি! মন্ত্রী গ্রেফতারির বিলের বিরোধিতায় অভিষেক

উল্লেখ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে বলাগড়ের বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরে কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার নাম উঠে আসে। তার পর থেকে একাধিক বার চন্দ্রনাথকে তলব করে ইডি। শুধু তাই নয়, একাধিকবার তল্লাশি অভিযানও চালানো হয়েছিল কারামন্ত্রীর বাড়িতে। যার ফলে ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। ইডি সূত্রে খবর, সেই টাকারও কোনও হিসেব দিতে পারেননি তিনি। এদিকে তাঁর অ্যাকাউন্টের দেড় কোটি টাকা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সংস্থার অনুমান, ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই টাকা জমা পড়েছিল। বার দুয়েক তলব এড়িয়ে যাওয়ার পর দিন কয়েক আগে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হন চন্দ্রনাথ।

Leave a Comment