কষ্টের টাকা রেখেছিলেন ব্যাঙ্কে! অ্যাকাউন্ট থেকেও উধাও সব, মাথায় আকাশ ভাঙল গ্রামবাসীদের!

Medinipur

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এবার স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হল লক্ষাধিক গ্রাহকের কোটি কোটি টাকার সম্পদ! অভিযোগ উঠেছে মেদিনীপুরের স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার একটি গ্রাহক সেবাকেন্দ্রের মালিক রাজিব মাইতির বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে তিনি নাকি প্রায় ১০টি গ্রামের সাধারণ মানুষের জমানো কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে। আর তাতেই রাগে এবং ক্ষোভে ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের ঘেরাও করে শুরু হয়েছে গ্রামবাসীদের তাণ্ডব।

ঠিক কী ঘটেছে?

টিভি ৯ বাংলার রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাতনের কাকরাজিত এলাকায় ঘটেছে। দিনের পর দিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, রক্ত জল করা কষ্টের জমানো কেউ রেখেছিলেন ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে, কেউ রেখেছিলেন সেভিংস অ্যাকাউন্টে, কিন্তু সেই টাকা সব এখন অতীত, অ্যাকাউন্টে কোনও টাকাই নেই। যার ফলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন গ্রাহকরা। জোর শোরগোল শুরু হয় এই ঘটনাকে ঘিরে। ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের ঘেরাও করে শুরু হয় বিক্ষোভ কর্মসূচি। শেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকায় স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করা হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দাঁতন থানার পুলিশ।

নিখোঁজ ডায়রি করেছেন অভিযুক্তের বাবা

টাকা ফেরতের দাবিতে এদিন দাঁতন থানার পুলিশের সামনেই ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা দাবি করেছেন যে অবিলম্বে তাঁদের টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। যদি না ফেরৎ দেওয়া হয় তাহলে বড় আন্দোলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে টাকা ফেরতের হুঁশিয়ারির মাঝেই রাজীব মাইতির বাবা তাঁর ছেলের নামে দাঁতন থানায় নিখোঁজের একটি জিডি করেছেন বলে জানা গিয়েছে। দেখার পালা এই ঘটনার জল শেষপর্যন্ত কত দূর এগোবে তাই নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।

আরও পড়ুন: স্বপ্ন দেখতে আর বাধা নেই! কলকাতায় মাত্র ৫০০ স্কোয়ার ফুট জায়গাতেই তৈরি করা যাবে নিজের বাড়ি

প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে, অম্বিকাপুরের বাসিন্দা বাসুদেব অধিকারি ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের বনগাঁ শাখার অধীন একটি গ্রাহক সেবা কেন্দ্র করার অনুমতি পায়। সেখানেই গ্রামীণ এলাকার বেশিরভাগ মানুষ ওই ব্যাঙ্কে তাদের জমানো অর্থ সঞ্চয় করতে শুরু করল নোট বদলের পর থেকেই কিছু কিছু গ্রাহক তাদের অ্যাকাউন্টে গরমিল দেখতে পান। কিছু ক্ষেত্রে, আবার কারও অ্যাকাউন্টের টাকারই হদিস মেলেনি। শেষে টাকা ফেরৎ দিতে না পারায় বাসুদেব স্বপরিবারে উধাও হয়ে যান। সেই সময় সঞ্চিত অর্থ ফেরত না পাওয়ায় এবং প্রতারিত হওয়ায় চূড়ান্ত সমস্যায় পরেছিল সকলে।

Leave a Comment