প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল কসবা ল কলেজের গণধর্ষণকাণ্ড (Kasba Law College Molestation Case)! এবার নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল! জানা গিয়েছে, গত ১৯ নভেম্বর বাইকে এসে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলে নিতে রীতিমত হুমকি-শাসানি দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার বাবা। গোটা বিষয় খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগ তুলে নেওয়ার হুমকি
ABP আনন্দের রিপোর্ট মোতাবেক, গত ১৯ নভেম্বর রাতে আচমকাই দুজন দুষ্কৃতী বাইকে চেপে নির্যাতিতার বাবার বাড়িতে আসে। এবং তখনই তারা নির্যাতিতার পরিবারকে কসবার ল কলেজে ঘটা গণধর্ষণ সংক্রান্ত গোটা মামলাটি অবিলম্বে তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়। এমনকি অভিযোগ তুলে না নিলে ভয়ংকর ফল ভুগতে হবে বলেও শাসানো হয়। যার দরুন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পরিবার। এরপর গোটা বিষয় বুঝে নির্যাতিতার বাবা এই হুমকির ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এলাকাতেও নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার পুনর্নির্মাণ তদন্তকারীদের
বারুইপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, কসবা ল কলেজের নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেখার পালা এই হুমকির ঘটনাটি মূল গণধর্ষণ মামলার তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা কি না। তবে এখনও এই নিয়ে সঠিক কোনো আপডেট আসেনি। সম্প্রতি কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে মনোজিৎ মিশ্র সহ ৪ অভিযুক্তকে নিয়ে ল কলেজে পুনর্নির্মাণ করেছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। কলেজের বিভিন্ন অংশে চলেছিল পুনর্নির্মাণ। ইউনিয়ন রুম, গার্ড রুম থেকে শৌচালয়, সব জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৪ অভিযুক্তকে। নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী পর পর ঘটনাক্রম মিলিয়ে দেখেছিলেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: বাংলা দখল নয়! বিজেপি যা করতে চায়, জানালেন শুভেন্দু
প্রসঙ্গত, শিক্ষাঙ্গনের এই কুৎসিত এবং ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে নাগরিক সমাজকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ছিল রাজভবন। জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল যে, “শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী সর্বগ্রাসী শক্তিকে থামাতে গোটা সমাজকে রুখে দাঁড়াতে হবে।” এমনকি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কসবার আইন কলেজে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে তাতে শিক্ষাঙ্গনের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। এখন দেখার পালা এই গণধর্ষণ কাণ্ডের ঘটনার পরিণতি কোনদিকে এগোয়।